জয়া দত্ত। ফাইল চিত্র।
বহিরাগতদের উপর ‘দোষ’ চাপিয়ে ছাত্র পরিষদকে অভিযোগ-মুক্ত রাখার চেষ্টা শুরু হল তৃণমূলে।
ভর্তি-দুর্নীতিতে তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের (টিএমসিপি) নাম জড়ানোয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ। দুর্নীতি-দমনে তিনি পুলিশ নামানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে সোমবার মধ্য কলকাতার কলেজগুলির ছাত্র সংসদ নেতাদের তৃণমূল ভবনে ডেকে পাঠান সংগঠনের নেত্রী জয়া দত্ত। মধ্য কলকাতার কলেজগুলির মধ্যে কয়েকটিতে টাকা চাওয়ার অভিযোগ এসেছে টিএমসিপির বিরুদ্ধে। কেন এমন অভিযোগ, নেতৃত্ব তা কলেজ ধরে ধরে জানতে চাইলে কলেজগুলির নেতারা দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন ‘বহিরাগত’দের উপর। যদিও ‘বহিরাগত’রা কোনও না কোনও ভাবে সংশ্লিষ্ট কলেজের টিএমসিপি নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের মদতপুষ্ট বলে অভিযোগ। ছাত্র সংসদগুলির নেতাদের বক্তব্য শুনে টিএমসিপি নেতৃত্ব তাঁদের নির্দেশ দিয়েছেন, এখন থেকে ভর্তি হতে আসা পড়ুয়াদের কাছে ‘বহিরাগত’রা টাকা চাইলে, তাদের চিহ্নিত করে পুলিশের কাছে টিএমসিপি সদস্যদের অভিযোগ জানাতে হবে। এবং কোনও রকম ‘হেল্প ডেস্ক’ও না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে টিএমসিপি নেতাদের। কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনও ভাবে না জড়িয়ে শুধুমাত্র এখন থেকে বহিরাগত ঠেকানোর কাজেই টিএমসিপি নেতাদের মন দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
মধ্য কলকাতার টিএমসিপির সভাপতি শুভজিৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে পুলিশ তল্লাশি চালিয়েছে বলে সূত্রের খবর। কেন তাঁর বাড়িতে পুলিশি তল্লাশি হয়েছে, তা এ দিন বৈঠকে উপস্থিত শুভজিতের কাছে জানতে চান নেতৃত্ব। জবাবে নিজেকে নিরপরাধ বলে দাবি করে শুভজিৎ পুলিশি হেনস্থার অভিযোগ করেছেন বলে টিএমসিপি সূত্রের খবর। এ দিকে, ভর্তি-দুর্নীতির প্রতিবাজে আজ, মঙ্গলবার বিকাশ ভবন অভিযান করবে রাজ্য বিজেপি-র যুব মোর্চা।