—ফাইল চিত্র।
বেতন ছাড়া পরিকল্পনা বহির্ভূত খরচে চলতি আর্থিক বছরের শেষ চার মাসে রাশ টেনেছে অর্থ দফতর। তার জেরে ভূমি রাজস্ব আদায়ে কোপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা নবান্নের একটি মহলের।
কারণ, আর্থিক বছরের শেষ তিন মাস খাজনা আদায়ে জোর দিতে ব্লক ভূমিরাজস্ব আধিকারিকদের গাড়ি দেয় সরকার। কিন্তু অর্থ দফতর জানিয়ে দিয়েছে, এ বার পুরো টাকা মঞ্জুর করার ক্ষমতা নেই তাদের।
খাজনা আদায়ের প্রক্রিয়া চালু রাখতে এখন টাকা জোগাড়ে নেমেছে ভূমি দফতর। অর্থ দফতরের খবর, এ বার পরিকল্পনা খাতের খরচে বাছাই করা ১০-১২টি দফতরে একশো শতাংশ খরচ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাকিরা ৯০ ভাগ টাকা খরচ করতে পারবে। পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে বেতন ছাড়া অন্য যে কোনও খরচের অন্তত ৩০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করা হবে না বলেই অর্থ কর্তারা জানিয়ে দিয়েছেন।
অর্থ দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, পরিকল্পনা বহির্ভূত খাতে মূলত বেতন এবং প্রশাসনিক খরচ চালানো হয়। বেতনের টাকা আটকানো যায় না। কিন্তু গাড়ি , টেলিফোন, অফিস খরচ, স্টেশনারি, কম্পিউটার ইত্যাদি কেনার টাকা দেওয়ার আগে নানা তথ্য অর্থ দফতর চাইতে শুরু করেছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর। গাড়ি ভাড়ার টাকা আটকে দেওয়া হয়েছে।
ভূমি দফতর তাতেই চাপে পড়েছে। প্রতি আর্থিক বছরের শেষ তিন মাস বিএলএলআরও’দের ৯০ দিনের জন্য গাড়ি দেওয়া হয়।
এ বারও জানুয়ারি মাস থেকে রীতি মেনে গাড়ি বরাদ্দ করে দিয়েছে ভূমি দফতর। ভূমি দফতর গাড়ি ভাড়া বাবদ ৩ কোটি ১১ লক্ষ টাকা চেয়েছিল। অর্থ দফতর জানিয়েছে, ৯০ দিনের ভাড়া দেওয়া সম্ভব নয়, ৭১ দিনের ভাড়া দেওয়া যেতে পারে। তবে সেই টাকা ভূমি দফতর নিজেরা জোগাড় করতে পারলে ভাল। না হলে ভূমি দফতর যতটুকু টাকা জোগাড় করতে পারবে, তার অতিরিক্ত টাকা অর্থ দফতর দিয়ে দিতে পারে।
নবান্নের এক শীর্ষ অর্থ কর্তার দাবি,‘‘২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে ৪৩ হাজার ৯৪৮ কোটি বাজার থেকে ধার নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল, খরচে রাশ টানার পরেও সেই ধারের পরিমাণ ৪৮ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়াতে পারে। ২০১৯-২০ সালে তা পৌঁছতে পারে ৫৪ হাজার কোটি টাকায়। মাসে পাঁচ হাজার কোটি টাকা নতুন ধারের বোঝা নিয়ে দেদার বরাদ্দ সম্ভব নয়।’’