এক বার নয়, দু’-দু’বার লিখিত প্রেস বিবৃতিতে তাঁর মেয়ের পরিচয় প্রকাশ করে বিতর্ক বাড়িয়েছে বিশ্বভারতী। ওই ঘটনায় এ বার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন কলাভবনের নির্যাতিতা ছাত্রীর বাবা।
বুধবার দুপুরে বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব মণিমুকুট মিত্র এবং ছাত্র পরিচালক শমিত রায়ের বিরুদ্ধে শান্তিনিকেতন থানায় তিনি সম্মানহানির অভিযোগ দায়ের করেছেন। নির্যাতিতার বাবা অভিযোগ করেন, ‘‘ওদের উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার। আমার মেয়ের ক্ষতি করতেই ওরা এমনটা করছেন।’’ ঘটনার প্রতিবাদে ছাত্রীর বাবা-মা আগামী গাঁধী জয়ন্তীতে আশ্রমে অনশনে বসার কথাও জানান। এ দিন অভিযুক্ত দুই আধিকারিকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছিল বিশ্বভারতী। উদ্দেশ্য ছিল, কলাভবনে গত বছর ভিন্ রাজ্যের ছাত্রীর যৌন নির্যাতনের ঘটনায় কী কী পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা জানানো। সেখানেই ওই দুই আধিকারিকের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের যে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়, তাতেই ছিল নিগৃহীত ছাত্রী এবং তাঁর বাবার নাম। ফৌজদারি আইনে অবশ্য নির্দিষ্ট ভাবে ধর্ষণের ক্ষেত্রে (৩৭৬ ধারা) নির্যাতিতার পরিচয় ফাঁস করে দেওয়াকে দণ্ডনীয় অপরাধ বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছিল, যৌন নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর পরিচয়-ই বা কেন এ ভাবে ফাঁস করবে বিশ্ববিদ্যালয়? বিশ্বভারতীর এমন ‘ভুল’ অবশ্য আগেও ঘটেছে। গত বছর ২২ সেেপ্টম্বরেও প্রেস বিবৃতিতে ওই ছাত্রীর পদবি উল্লেখ করে অস্বস্তিতে পড়েছিল বিশ্বভারতী।
গত বছর অগস্টে কলাভবনের প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। তিন ছাত্র গ্রেফতার হয়। তখনই বিষয়টি আড়াল করার অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। নির্যাতনের মামলা এখনও বিচারাধীন। দীর্ঘদিন বর্ধমান মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন থাকার পরে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন নির্যাতিতাও।