জমি কমিটির সমাবেশ ঘিরে তরজা

ওই দু’জনের অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এ ছাড়াও পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নুরনাহার আহমেদের বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজ বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড প্রকল্পের বিরোধী, জমি আন্দোলনকারীদের সমাবেশ। বুধবার সকালে তাঁদের বিরুদ্ধেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করলেন শাসক দলের দুই কর্মী।

Advertisement

ওই দু’জনের অভিযোগ, মঙ্গলবার তাঁদের তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এ ছাড়াও পোলেরহাট-২ পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান নুরনাহার আহমেদের বাড়িতে বোমাবাজি ও ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ উঠেছে। বুধবার জমি, জীবিকা, বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী-সহ কমিটির ১৪ জনের নামে কাশীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।

এ দিন বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈকত ঘোষের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান আরাবুল ইসলাম, কাইজার আহমেদ, ওহিদুল ইসলাম ও নান্নু হোসেন। আরাবুল বলেন, ‘‘রাজ্যে আমরা ক্ষমতায় আছি। তাই কোনও গন্ডগোল করতে চাই না। কিছু বহিরাগত এলাকায় ঢুকে মানুষকে ভুল বুঝিয়ে গোলমাল পাকাতে চাইছে।
আমরা চাইলে ওদের উচিত শিক্ষা দিতে পারি। এলাকা ছাড়া করে দিতে পারি। কিন্তু আমরা শান্তির পথে পাওয়ার গ্রিডের সমাধান চাই।’’

Advertisement

শাসক দলের নেতাদের দাবি, মঙ্গলবার আরাবুল ইসলাম ও কাইজার আহমেদ-সহ কয়েক জন নেতা তপোবন মাঠ এলাকায় জনসভা করার জন্য জায়গা দেখতে যান। তাঁদের অভিযোগ, শ্যামনগর থেকে কয়েকটি গাড়ি ও মোটরবাইক নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তখন আন্দোলকারীরা তাঁদের লক্ষ করে বোমা ছোড়েন। জমি কমিটির পাল্টা অভিযোগ, বৃহস্পতিবার শাসক দলের সদস্যেরা তাঁদের বাইক-মিছিলে বোমা ছোড়েন, গুলি চালান ও বেশ কিছু গাড়ি পুড়িয়ে দেন। হামলার জেরে তিন সদস্য জখম হন বলেও দাবি করে জমি কমিটি। তার প্রতিবাদে সোমবার আন্দোলনকারীরা লাউহাটি-হাড়োয়া রোডে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন।

আজ, বৃহস্পতিবার খামারআইটে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলকারীরা। কিন্তু বুধবার রাত পর্যন্ত সমাবেশের কোনও মঞ্চ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের আশঙ্কা, শাসক দল যে ভাবে এলাকায় সন্ত্রাস চালাচ্ছে তাতে বড় সমাবেশ করলে আক্রমণ হতে পারে। হামলার ভয়ে কোন জায়গায় সমাবেশ করা হবে, তা-ও ঠিক করা হয়নি বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। তাঁদের তরফে মির্জা হাসান বলেন, ‘‘শাসক দল আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ভেস্তে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে। বোমা-বন্দুক নিয়ে সন্ত্রাস করতে চাইছে। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।’’

এ দিন নতুনহাটে একটি সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা কাইজার আহমেদ বলেন, ‘‘আন্দোলনকারীরা হামলা করেছে হয়তো। আমাদের কোনও সমর্থক ওই ঘটনায় জড়িত নয়।’’ বারুইপুরের জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিংহ বলেন, ‘‘গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে বুধবার ভাঙড়ে গুলি ও বোমাবাজি ঘটেনি। কিছু সংবাদমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে পুরনো ছবি সম্প্রচার করা হচ্ছে। আমরা লিখিত অভিযোগ করব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন