হাইকোর্টে আগুন, পুড়ল বিচারপতির ঘর

কয়েক মাস আগেই হাইকোর্টের সার্ধশতবর্ষ ভবনের সাততলায় হিটার থেকে আগুন লেগেছিল। সেই সময়ে হাইকোর্টের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০১৮ ০২:২১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আবার আগুন লাগল হাইকোর্টে! এ বার পুড়ে গেল এক বিচারপতির ঘর।

Advertisement

পুলিশ জানায়, সোমবার সকাল ন’টা নাগাদ হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের দোতলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ঘর থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখা যায়। দমকলের দু’টি ইঞ্জিন গিয়ে ৪০-৪৫ মিনিটের মধ্যে আগুন নেভালেও তার আগেই ঘরের আসবাব, কম্পিউটার ও কিছু বইপত্র পুড়ে যায়। তবে হতাহতের খবর নেই। আগুনের প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞেরা নমুনা সংগ্রহ করেন। সেই রিপোর্ট পেতে কিছু দিন সময় লাগবে।

কয়েক মাস আগেই হাইকোর্টের সার্ধশতবর্ষ ভবনের সাততলায় হিটার থেকে আগুন লেগেছিল। সেই সময়ে হাইকোর্টের অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন মেয়র তথা দমকলমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। হাইকোর্ট সূত্রের খবর, বিচারপতি বাগচী কিছু দিন শহরে ছিলেন না। এ দিন তাঁর কোর্টে আসার কথা ছিল। তিনি আসার আগে ঘর ঠান্ডা রাখতে কর্মীরা এসি চালু করেছিলেন। তার পরেই শর্ট সার্কিট। দমকলের অনুমান, এসি থেকে শর্ট সার্কিট হয়েই ঘটে বিপত্তি। বিচারপতি বাগচী এ দিন ওই ঘরে বসতে পারেননি। তাঁর আদালতেও কাজ হয়নি। বিচারপতি বাগচীর ঘরের পাশে আরও তিন বিচারপতির ঘর রয়েছে। আগুন নেভাতে প্রচুর জল ঢালায় তাঁদের ঘরেও জল ঢুকে যায়। পরে সার্ধশতবর্ষ ভবনে অস্থায়ী ঘরে জায়গা করে দেওয়া হয় চার বিচারপতিকে।

Advertisement

আগুনের পিছনে পূর্ত দফতরের অনিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণকেই দায়ী করছে দমকল ও লালবাজারের একাংশ। তাদের মতে, বিচারপতি দিন পনেরো ছিলেন না। এ দিন ঘর খোলার আগে পূর্ত দফতরের উচিত ছিল, ঘরের বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করা।

দমকল জানায়, হাইকোর্টের মূল ভবনের চেয়ে অ্যানেক্স ও সার্ধশতবর্ষ ভবনের বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা উন্নত। কিন্তু তা নিয়মিত পরীক্ষা হওয়া দরকার। সূত্রে খবর, রক্ষণাবেক্ষণের হাল জানতে এ দিন সন্ধ্যায় হাইকোর্টের বিল্ডিং কমিটি পূর্ত-কর্তাদের ডেকে পাঠায়। এক পূর্ত আধিকারিক দাবি করেন, রক্ষণাবেক্ষণে ত্রুটি নেই। তবু কেন আগুন লাগল, খতিয়ে দেখা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন