হঠাৎই ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন ববি হাকিম। ছবি: সংগৃহীত।
অবশেষে ইডি-র মুখোমুখি হলেন ফিরহাদ হাকিম। এর আগে বার দুয়েক সমন পাওয়া সত্ত্বেও ইডি-র দফতরে যেতে আগ্রহ দেখাননি। বরং জানিয়ে দিয়েছিলেন, আগামী সেপ্টেম্বরের আগে সেখানে হাজিরার প্রশ্নই নেই। তবে বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ খানিকটা হঠাৎই পৌঁছে যান সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে। সেখানে সন্ধ্যা প্রায় ৭টা পর্যন্ত তাঁর জেরা চলে।
আরও পড়ুন
ছেলেরা তো মেয়েদের পিছনে ছোটেই, বলে বিতর্কে বাবুল
নারদ-কাণ্ডের জেরে গত বছর রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, আমলা, সাংসদ-সহ শীর্ষ পুলিশ কর্তাকে টাকা নিতে দেখা যায়। গোপন ক্যামেরায় ধরে রাখা ২০১৪-তে লোকসভা নির্বাচনের সময় সেই স্টিং অপারেশন করেন নারদ-কর্তা ম্যাথু স্যামুয়েল। তা প্রকাশ্যে আসতেই হইটই পড়ে যায়। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই ঘটনার তদন্ত শুর করে সিবিআই এবং ইডি। সেই তদন্তের অঙ্গ হিসেবেই ফিরহাদ (ববি) হাকিমকে সমন পাঠায় ইডি। যদিও নারদের ভিডিও-তে ববিকে টাকা নিতে দেখা যায়নি। ইডি-র চিঠির উত্তরে ববি জানান, আগামী ১৭ অগস্ট পর্যন্ত বিধানসভার অধিবেশন চলাকালীন ব্যস্ত থাকায় তিনি ইডি-র দফতরে যেতে পারবেন না। এর পর হজ করতে যাবেন। ফলে আগামী ২০ সেপ্টেম্বরের আগে তাঁর পক্ষে ইডি-র আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়া সম্ভব নয়। তবে এ দিন হঠাৎই ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন।
আরও পড়ুন
আপনারা কি পাকিস্তানের সমর্থক? সাংবাদিকদের প্রশ্ন বিহারের মন্ত্রীর
এ দিন সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে ববি হাকিম বলেন, “আমার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থাকে সম্মান করি। তাই তদন্তে সব রকম সাহায্য করব। আজও করেছি, এর পরেও করব।”