স্মরণসভাতেও খোঁচা ফিরহাদের

অটলবিহারী বাজপেয়ীর মানবিকতা এবং সহিষ্ণুতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাঁর দল বিজেপি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে সরে এসেছে সিপিএম। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার বাজপেয়ী, সোমনাথবাবু এবং প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভায় ওই কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০১৮ ০২:১৭
Share:

ফিরহাদ হাকিম

অটলবিহারী বাজপেয়ীর মানবিকতা এবং সহিষ্ণুতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়েছে তাঁর দল বিজেপি। সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়ের ধর্মনিরপেক্ষতার পথ থেকে সরে এসেছে সিপিএম। বিধানসভায় বৃহস্পতিবার বাজপেয়ী, সোমনাথবাবু এবং প্রাক্তন বিরোধী দলনেতা পঙ্কজ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্মরণসভায় ওই কটাক্ষ করলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।

Advertisement

সিপিএম সম্পর্কে মন্ত্রীর কটাক্ষের প্রতিবাদ করেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। তারপরই অবশ্য স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই অংশ বিধানসভার নথিতে থাকবে না।

বিধানসভায় এ দিন বাজপেয়ীর স্মরণে ফিরহাদ বলেন, ‘‘অটলবিহারী বাজপেয়ী নিজের মতাদর্শের বাইরেও মানবিকতা, সহিষ্ণুতার আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। রাজধর্মের কথাও বলেছেন। খারাপ লাগে, তাঁর দল সেই সহিষ্ণুতার আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়ে মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে। তারা ধর্মে ধর্মে ভাগ করার কথা, হত্যার কথা বলে অটলজিকেই অসম্মান করছে।’’ আর সোমনাথবাবুর প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, ‘‘সোমনাথবাবু এবং সৈফুদ্দিন চৌধুরী ধর্মনিরপেক্ষতার জন্য একটি শক্তি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। দু’জনকেই দল বার করে দিয়েছিল। ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে এখন আবার তারা একই ভুল করছে। ওই মহান নেতা যা গতকাল ভেবেছিলেন, সিপিএম আজ সেটা বুঝছে।’’ বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বিধায়ক দিলীপ ঘোষ পরে বিধানসভা চত্বরে বলেন, ‘‘স্মরণসভায় ও সব বলে মন্ত্রী বুঝিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দলের রুচি-সংস্কৃতিটা ঠিক কেমন।’’ পরে সুজনবাবুও বলেন, ‘‘স্মরণসভায় মন্ত্রী এমন কথা বললেন, যা স্পিকারকে বাদ দিতে হল! এতে কি মন্ত্রীর সম্মান বাড়ল?’’

Advertisement

বিধানসভায় এ দিন সিপিএম বিধায়ক তন্ময় ভট্টাচার্য মনে করিয়ে দেন, যে তিন নেতাকে এ দিন স্মরণ করা হয়েছে, তাঁরা সকলেই শেষ জীবনে নিজেদের দল থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলেন। কিন্তু তাঁরা কেউই কখনও দলের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি। এই রাজনৈতিক মূল্যবোধ বর্তমান রাজনীতিক এবং জনপ্রতিনিধিদের শিক্ষণীয়। কংগ্রেস বিধায়ক নেপাল মাহাতো বলেন, ‘‘সাংসদদের নৈতিক মূল্যবোধের অবক্ষয় হলে সংসদীয় রাজনীতির ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন সোমনাথবাবু।’’ সোমনাথবাবুর স্মরণে সুজনবাবু বলেন, ‘‘তাঁর স্বচ্ছতা এমনই ছিল যে, স্টিং অপারেশনে ঘুষের অভিযোগ সামনে আসার পর মাত্র ১২ দিনের মধ্যে তিনি ১১ জন অভিযুক্ত সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’’ বিজেপির তরফে দিলীপবাবুর বক্তব্য ছিল, ওই তিন জনের মতো নেতৃত্ব এখন বাংলার রাজনীতিতে বিরল। এমন মানুষ রাজনীতিতে প্রয়োজন, যাঁদের অনুসরণ করা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন