সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর উপর হামলা এবং গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মন্তেশ্বর থানার পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। শুক্রবার ধৃতদের প্রত্যেককেই কালনা আদালতে হাজির করানো হবে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতরা এলাকায় তৃণমূলকর্মী বা দলের সমর্থক হিসাবেই পরিচিত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় আরও কয়েক জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, পূর্ব বর্ধমানের মন্তেশ্বরে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা। সেই সময় তাঁর গাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। দাবি, দলীয় কর্মীদেরই একাংশ হামলা চালিয়েছেন। এই ঘটনায় তিনি নিজেও আঘাত পেয়েছেন বলে দাবি করেন সিদ্দিকুল্লা। ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে যান মন্ত্রী।
সুপারের সঙ্গে কথা বলার পর সেখান থেকে বেরিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন। গোটা ঘটনা পুলিশ চুপচাপ দাঁড়িয়ে দেখেছে বলে অভিযোগ করেন। এর পাশাপাশি দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে সিদ্দিকুল্লা বলেন, ‘‘এই চক্রান্ত যারা করল, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এই সন্ত্রাস যদি বন্ধ না হয়, বলে দিচ্ছি, সিপিএমের আমলে যে রকম আন্দোলন করেছিলাম, সে রকম এ বারও হবে।” একই সঙ্গে তিনি বলেন, “খুব স্পষ্ট ভাবে বলছি, দল যদি ব্যবস্থা না করে, আগামী ১০ জুলাই কলকাতায় মহামিছিল বার করে এর প্রতিবাদ করব।’’
সিদ্দিকুল্লা মন্তেশ্বরের বিধায়ক। একুশে জুলাইয়ে প্রস্তুতি সভার আগে বৃহস্পতিবার সেখানেই গিয়েছিলেন মন্ত্রী। তাঁর কনভয় মালডাঙা এবং মন্তেশ্বর বাজার এলাকায় পৌঁছোতেই হাতে ঝাঁটা, কালো পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক জন। তোলা হয় ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। মন্ত্রীকে ‘চিটিংবাজ-ধাপ্পাবাজ’ বলেও আক্রমণ করতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। সেই সময় ইট-রড-লাঠি দিয়ে হামলাও হয় মন্ত্রীর গাড়িতে। বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, সিদ্দিকুল্লা গত চার বছর ধরে এলাকার খোঁজখবর রাখেননি। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিলেও কোনও কাজ হয়নি।
এই ঘটনায় মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমদ হোসেন শেখের বিরুদ্ধে আঙুল তোলেন সিদ্দিকুল্লা। অভিযোগ করেন, আহমদের মদতে তাঁর অনুগামীরা হামলা চালিয়েছেন।