ঘন কুয়াশার জেরে একাধিক উড়ান নামতে পারল না বাগডোগরা বিমানবন্দরে। বুধবারই হায়দরাবাদ থেকে বাগডোগরাকে জুড়ল গো এয়ার। কিন্তু তাদের উদ্বোধনী উড়ানটিও বাগডোগরায় নামতে পারেনি। বেলা ২টো নাগাদ দৃশ্যমানতা স্বাভাবিক হলে ফের বিমান চলাচল শুরু হয়। ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম চালু হলে দৃশ্যমানতার এই সমস্যা অনেকাংশে দূর হবে বলে মনে করছেন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের একাংশ।
বুধবার ভোর থেকেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে বিমানবন্দর এবং আশপাশের এলাকা। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানান, দিল্লি থেকে আসা ভিস্তারা ৮৬৮ উড়ানটিকে বাগডোগরায় না নামিয়ে গুয়াহাটিতে পাঠানো হয়েছে। হায়দরাবাদ থেকে বাগডোগরা পর্যন্ত গো এয়ার-২৯৯ উড়ানটির এ দিনই ছিল প্রথম দিন। দৃশ্যমানতার অভাবে সেটিকেও গুয়াহাটিতে নামানো হয়।
বিমানবন্দরের ডিরেক্টর রাকেশ সহায় বলেন, ‘‘১৬টি উড়ানের মধ্যে দু’টি বাতিল করতে হয়েছে। বাকিগুলি চলাচল করেছে। তবে নির্ধারিত সময়ের থেকে দেরিতে।’’
বাগডোগরা বিমানবন্দরে দৃশ্যমানতা বাড়াতে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম জানুয়ারির মধ্যেই কার্যকর করার কথা ছিল। তাতে কুয়াশার সময়ে বা রাতে দৃশ্যমানতা বাড়ানো সম্ভব। ইতিমধ্যে এক দিন রাতে ওই ব্যবস্থায় বিমান ওঠানামাও করানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, শীঘ্রই এই ব্যবস্থা চালু হয়ে যাবে। তবে বিমানবন্দরের কোনও কোনও অফিসারের বক্তব্য, এ দিন সকালে যা কুয়াশা ছিল, তাতে আইএলএস পদ্ধতিতেও বিমান নামানো মুশকিল হতো।
ইস্টার্ন হিমালয়া ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি সম্রাট সান্যাল বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে আসা কিছু পর্যটকের দার্জিলিং যাওয়ার কথা ছিল। উড়ান ওঠানামা বাতিলের জেরে তাঁরা আসতে পারেননি। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হচ্ছে।’’