এবার নতুন বছর থেকেই গঙ্গাবক্ষে ভাসমান পার্টির জন্য বিশেষ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। প্রতীকি ছবি।
আয় বাড়াতে ফেরি পরিষেবাকে পর্যটন এবং অনুষ্ঠানের জন্য ভাড়ায় দেওয়ার পরিকল্পনা নতুন করে কার্যকর করতে চলেছে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমিতি। প্রায় এক বছর আগের সেই ভাবনা শুরু হলেও অর্থাভাবে তা বাস্তবায়িত হয়নি। অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ দফতর থেকে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হওয়ায় আটটি ভেসেলকে অনুষ্ঠান উপযোগী করে তোলা সম্ভব হচ্ছে। ইতিমধ্যে সেই ভেসেলগুলি সমিতির হাতে এসে গিয়েছে। ফলে নতুন বছর থেকেই গঙ্গাবক্ষে ভাসমান পার্টির জন্য বিশেষ পরিষেবা চালুর উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, এই পরিষেবা চালু হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) মডেলে। এ জন্য ইতিমধ্যেই বেসরকারি সংস্থার খোঁজ শুরু হয়েছে। বিয়ে, জন্মদিন, কর্পোরেট ইভেন্ট কিংবা পিকনিক— এই ধরনের অনুষ্ঠানের জন্য অনেকেই এখন ব্যাঙ্কোয়েটের বদলে গঙ্গার বুকে আলো-সাজানো ভেসেল বেছে নিচ্ছেন। সেই বাড়তি চাহিদাকেই মাথায় রেখে ‘ভ্রমণসঙ্গী’ নামে নতুন উদ্যোগ আনছে সমিতি।
প্রথমে বাউড়িয়া থেকে গার্ডেনরিচ রুটে চলাচলকারী ‘এমভি চোখাচোখি’ নামের ডাবলডেকার স্টিলের ভেসেলটিকে সাজানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল। প্রায় ২০০ জন যাত্রী বহনে সক্ষম এই ভেসেলে আধুনিক পরিকাঠামো তৈরি করে অনুষ্ঠানের উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। সমিতির তরফে দাবি, বর্তমানে হাওড়া বা আশপাশে এই ধরনের কোনও পরিষেবা নেই। ফলে ‘ভ্রমণসঙ্গী’ চালু হলে শুধু রিসেপশন বা জন্মদিন নয়, প্রি-ওয়েডিং ফটোশ্যুট ও রি-ইউনিয়নের মতো অনুষ্ঠানেও চাহিদা বাড়বে। শীতকালে বিশেষত সপ্তাহান্তে গঙ্গাবক্ষে এই নতুন উদ্যোগ শহরের পর্যটনে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে। ফলে এই পরিষেবা চালু হলে রাজস্ব আদায়ও বাড়বে ভালই, এমনটাই মত পরিবহণ দফতরের একাংশ কর্তাদের। পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিক বলেন “যদি কোনও সংস্থা ভেসেলের সৌন্দর্যায়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের দায় নেয়, তবে তারা নির্দিষ্ট সময়ে সেটিকে ভাড়ায় চালাতে পারবে। অন্য সময় সমিতি ‘ভ্রমণসঙ্গী’ ভাড়া দেবে। এতে আয়ও কয়েকগুণ বাড়বে।”