১১,০০০ ফুটে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার!

লাচেনের উত্তরে ১১ হাজার ফুটের মতো এত উঁচু এলাকা থেকে এ বার এত স্পষ্ট ভাবে বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলায় বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা খুশি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

মালবাজার শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০১৯ ০৩:৩০
Share:

আবারও পাহাড় চূড়ায় বাঘের দেখা মিলল। এ বার উচ্চতা আরও বেশি। প্রায় ১১ হাজার ফুট উচ্চতায় উত্তর সিকিমের গামটাংপু সংরক্ষিত অরণ্যের নাগা রেঞ্জে কয়েক মাস আগে ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়। গত ২১ জুন লাচেনের উত্তর দিকে সেই প্রথম বার ক্যামেরাতে বাঘের ছবি ওঠে।

Advertisement

এই নিয়ে দ্বিতীয় বার সিকিমে ট্র্যাপ ক্যামেরাতে বাঘের ছবি দেখা গেল। এ বছর জানুয়ারিতেই সিকিমের পাংগোলাখা সংরক্ষিত অরণ্যে বাঘের ছবি ট্র্যাপ ক্যামেরাতে উঠেছিল। এই পাংগোলাখার সঙ্গে নেওরাভ্যালির জঙ্গলের সীমানা রয়েছে। আর নেওরাভ্যালির পাহাড়ি বনাঞ্চলে ২০১৭ সাল থেকেই নিয়মিত রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি পাওয়া যাচ্ছে।

তবে লাচেনের উত্তরে ১১ হাজার ফুটের মতো এত উঁচু এলাকা থেকে এ বার এত স্পষ্ট ভাবে বাঘের অস্তিত্বের প্রমাণ মেলায় বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা খুশি। পাংগোলাখার যেখান থেকে বাঘের ছবি উঠেছিল, তা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৯ হাজার ৫৮০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। নেওরাভ্যালিতে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ৫০০ ফুট উচ্চতায় বাঘের সন্ধান মিলেছিল। তবে গত ডিসেম্বরে অরুণাচলের দিবাং ভ্যালিতে যে বাঘের ছবি মেলে, সেটিও প্রায় ১১ হাজার ফুট উঁচুতেই ছিল।

Advertisement

আরও পডু়ন: এমএ পাশ, পেটের দায়ে পালিশ করেন জুতো

এই সব ছবি সংরক্ষণ করছে ‘হাই অলটিটিউড টাইগার প্রোজেক্ট’। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞ অরিত্র ক্ষেত্রী জানান, পাহাড়চুড়োয় আগেও বাঘ ছিল। সিকিমের রাজারা বাঘ শিকার করে ছবি তোলাতেন। তাঁর কথায়, ‘‘এখন ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানোয় ছবি উঠছে, তাই আমরা জানতে পারছি। এ বার সেই বাঘ কোথা দিয়ে কোথায় যাচ্ছে, সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।’’ বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরাই জানাচ্ছেন, পাহাড়ে যে বাঘ বরাবরই ছিল, তার আর একটি প্রমাণ হল, সেবকের করোনেশন সেতুর পুরনো নাম ছিল বাঘপুল। তাই অবাক হওয়ার কথা নয়। বরং সতর্ক হতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন