State News

পাহাড়ে গুরুঙ্গপন্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ গুলি, মৃত এক পুলিশকর্মী

লিমবু বস্তি ও তার আশপাশ এলাকায় গুরুঙ্গ লুকিয়ে রয়েছেন। গত কয়েক দিন ধরেই এমন একটা খবর আসছিল পুলিশের কাছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ১০:২৭
Share:

মৃত পুলিশ আধিকারিক অমিতাভ মালিক।নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের সঙ্গে গুরুঙ্গপন্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পাহাড়।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৩০শে দেখা দেবেন গুরুঙ্গ! গোপন ডেরা থেকে ঘোষণা অডিও বার্তায়

টাকভরে প্রচুর অস্ত্র মজুত হয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে সেখানে তল্লাশি অভিযান চালাতে যায় পুলিশ। অভিযোগ, সেই সময় নিম্বু বস্তির দিক থেকে গুরুঙ্গপন্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক গুলির লড়াই চলে। এই সংঘর্ষে রাজ্য পুলিশের এক সাব-ইনস্পেক্টর অমিতাভ মালিক মারা যান। আহত হন পুলিশের বেশ কয়েক জন কর্মী। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অমিতাভ মালিকের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আগামিকাল বিকেল ৪টেয় রাজ্যের সব থানায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হবে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পুরো এলাকা ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশের বিশাল বাহিনী।

আরও পড়ুন: মকাই পার্টি’ নিয়ে সতর্কবার্তা মোর্চায়

বৃহস্পতিবার এক অডিও বার্তায় বিমল গুরুঙ্গ জানিয়েছিলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর তিনি পাহাড়ে ফিরবেন। এর আগেও বেশ কিছু অডিও বার্তা প্রকাশ হয় তাঁর। সিংমারি, বাদামতাম, টাকভর এলাকায় গোপন ঘাঁটি থেকে নানা অডিও বার্তা আসছিল। কালকের অডিও সেখানে আসে। নিম্বুবস্তি, লেপচা বস্তি ওই এলাকায়। গোটা এলাকাটি বিমল গুরুঙ্গের খাসতালুক বলে পরিচিত। পুলিশের সন্দেহ ছিল, নিম্বু ও লেপচা বস্তি সংলগ্ন এলাকা থেকেই এই অডিওগুলো ছড়াচ্ছিল। এ ছাড়া পুলিশের কাছে এটাও খবর আসে, যে ওই এলাকায় অস্ত্র মজুত করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই দিন রাতে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। অভিযোগ, পুলিশকে আসতে দেখেই লিম্বু বস্তির দিক থেকে গুরুঙ্গ ঘনিষ্ঠ যুব মোর্চা ও জিএলপির কিছু যুবক গুলি চালাতে থাকে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশও। প্রায় ঘণ্টাখানেকের লড়াই চলে দু’পক্ষের মধ্যে। পুলিশের গুলিতে তাঁদেরএক সমর্থক মারা গিয়েছে বলে দাবি, গুরুঙ্গপন্থীদের।

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত পুলিশ অফিসার মধ্যমগ্রামের পাটুলির ছেলে। ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে গোটা পরিবার এবং পাড়া শোকে ভেঙে পড়ে। অমিতাভের মা গীতা মালিক বলেন, “এত ভাল পড়াশোনায়, ব্যাঙ্কেও চাকরি পেয়েছিল কিন্তু কী যে ওর খালি দেশ সেবার ঝোঁক।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন