রাজ্যের সব স্কুলে এ বার থেকে বাংলা ভাষা পড়তেই হবে। তা সেই স্কুল যে-বোর্ডেরই হোক। স্কুলের ভাষা-মাধ্যম যা-ই হোক, অন্যতম ভাষা হিসেবে বাংলা রাখতেই হবে। একই সঙ্গে চালু হতে চলেছে তিন ভাষা নীতি। সব পড়ুয়াকে যে-কোনও তিনটি ভাষা পড়তে হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার জানান, প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত এই নীতি অনুসরণ করা হবে।
নবান্ন সূত্রের খবর, সব স্কুলে বাংলা আবশ্যিক করার জন্য প্রয়োজনে আইন বদল করার কথাও ভেবেছে রাজ্য সরকার। গত শুক্রবার হাওড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হয়, জেলার শহরাঞ্চলে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বহু স্কুল ছাত্রশূন্য হয়ে যাচ্ছে। পড়ুয়ারা ইংরেজি মাধ্যমের বেসরকারি স্কুলে চলে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী তখন অন্তত দু’টি ভাষা-মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু করার কথা বলেন। তিনি বৈঠকে উপস্থিত স্কুলশিক্ষা সচিব দুষ্মন্ত নারিয়ালকে বিষয়টি নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, বাংলা, ইংরেজি ও হিন্দি— এই তিন ভাষায় পড়াশোনা হোক।
শিক্ষামন্ত্রী এ দিন জানান, সব ছাত্রছাত্রীরই পড়াশোনার জন্য নিজস্ব ভাষা চয়নের অধিকার আছে। প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ভাষা বাছাইয়েরও অধিকার আছে। তিনি বলেন, ‘‘পড়ুয়া প্রথম ভাষা হিসেবে বাংলা, হিন্দি, ইংরেজি, উর্দু, গুরমুখি, নেপালি ইত্যাদি পড়তে পারবে। তবে তিন ভাষার মধ্যে বাংলা নিতেই হবে।’’
স্কুলে ৫০ হাজার শিক্ষক-পদ খালি। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে বাংলা ছাড়াও ইংরেজি মাধ্যমের নীতি নিলে কী ভাবে তা বাস্তবায়িত হবে, তা নিয়ে সংশয় আছে শিক্ষা শিবিরেই।