প্রাথমিক স্কুলে নিয়োগ পরীক্ষার আবেদনপত্রে প্রার্থীর নাম আছে, কিন্তু জেলার নাম উল্লেখ করা হয়নি। মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের হার ৭৫ শতাংশ লেখা হলেও মোট নম্বর যোগ করে দেখা যাচ্ছে, সেটা ৭৮ শতাংশ।
এই সব ক্ষেত্রে আবেদনপত্র বাতিল করাই নিয়ম। কিন্তু এ বার থেকে আবেদনপত্র বাতিলের বদলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে এসএমএস করে সতর্ক করে দেবে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। প্রয়োজনে তা সংশোধন করে নিতে পারবেন প্রার্থীরা।
পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য মঙ্গলবার জানান, ‘টেট’-এ আবেদন গ্রহণ শেষ। দেখা যাচ্ছে, অনেক আবেদনপত্র হয় অসম্পূর্ণ অথবা ভুলে ভরা। কোথাও প্রার্থীর নাম থাকলেও লিঙ্গের উল্লেখ নেই। কোথাও উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করতে ভুল হয়েছে। তবে আবেদনপত্র বাতিল না-করে প্রার্থীদের এসএমএস করে জানানো হবে, কী ভুল হয়েছে এবং কবে কী ভাবে তা সংশোধন করা যাবে। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পর্ষদের ওয়েবসাইটে ‘এডিট’ অপশনে গিয়ে আবেদনপত্রের ভুল সংশোধন করতে পারবেন প্রার্থীরা। ‘‘এত দিন সামান্য ভুলের জন্য গোটা আবেদনপত্রটিই বাতিল হয়ে যেত। এই অবস্থা বদলের জন্যই পর্ষদের তরফে এই ব্যবস্থা নেওয়া হল,’’ বলেন মানিকবাবু।