গতিধারা প্রকল্পে অর্থের অপব্যবহার ঠেকাতে এ বার থেকে টাকা আর প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়বে না। টাকাটা সরাসরি গাড়ির ডিলারদের দেওয়া হবে।
সম্প্রতি পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী এই নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যের সব আরটিও-কে এই সংক্রান্ত নির্দেশও পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাপকদের হাতে পাবেন শুধুমাত্র টাকা পেয়ে যাওয়ার শংসাপত্র। যা দেখিয়ে তাঁরা সংশ্লিষ্ট ডিলারের থেকে গাড়ি নিতে পারবেন।
বেকার যুবক-যুবতীরা এখন গতিধারা প্রকল্পে গাড়ি কিনে ব্যবসা করতে চাইলে ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত সরকারের কাছে ভর্তুকি পান। গাড়ি কেনার ‘অফার লেটার’ পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট আবেদনকারীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা পড়ত। তার ছ’মাসের মধ্যে গাড়ি রাস্তায় বের করতে হতো। কিন্তু পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, অনেকেই টাকা অ্যাকাউন্টে জমা পড়ার পরে আর গাড়ি বের করছিলেন না। খোঁজ নিয়ে দেখা গিয়েছে, গাড়ি কেনার বদলে ওই অর্থ বাড়ি তৈরি কিংবা অন্য কোনও ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলছেন তাঁরা। এক পরিবহণ কর্তার কথায়, ‘‘ওই টাকা আদায় করতে সরকারের শ্রম এবং অর্থ দুই-ই খরচ হচ্ছিল।’’ এ কথা জানার পরেই মন্ত্রী ওই অর্থ সরাসরি ডিলারের অ্যাকাউন্টে জমা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তবে চলতি বছরে গতিধারা প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের যে কোটা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, তা আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। কারণ এই প্রকল্পে জনপ্রতিনিধিদের জড়ানোর বিষয়ে আপত্তি জানান মুখ্যমন্ত্রী। দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘এখন বিধায়কের কাছে লিখিয়ে নিতে হবে না। সরাসরি আরটিও-র কাছে আবেদন জমা করতে হবে।’’