—ফাইল চিত্র।
বেশ কিছু দিন ধরেই তিনি বিতর্কের কেন্দ্রে। তৃণমূলে থেকেও বিভিন্ন সময়ে দলের সমালোচনা করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার ফের বিতর্ক বাড়িয়ে বিধাননগরের মেয়র ও রাজারহাট-গোপালপুরের সব্যসাচী দত্ত বললেন, ‘‘কাল বৃষ্টি হবে কি না, তা আমি বলতে পারব না। আমি আবহাওয়াবিদ নই। তবে আজও আমি তৃণমূলের বিধায়ক, কর্মী, জনপ্রতিনিধি। কাল বেঁচে থাকব না জেলে থাকব, কী ভাবে বলব!’’
বারাসতের বিশেষ আদালতে একটি রাজনৈতিক মামলায় এ দিন হাজিরা দিতে এসেছিলেন সব্যসাচী। পরে তাঁর কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, তিনি বিজেপিতে যাচ্ছেন কি না। সরাসরি জবাব এড়িয়ে সব্যসাচী এই মন্তব্য করেন। সব্যসাচী বরাবরই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ। ভোটের আগে তাঁর বাড়িতে গিয়ে মুকুলের লুচি-আলুরদম খাওয়ার ঘটনার পর থেকেই সব্যসাচীর বিজেপি-যাত্রা নিযে জল্পনা শুরু হয়েছিল। তার পরে দোলের অনুষ্ঠানে তাঁর মুখে ‘ভারতমাতা কি জয়’ ধ্বনি সেই বিতর্কে আরও ইন্ধন বাড়িয়েছিল। ভোটের পরে সল্টলেকে তাঁর ওয়ার্ড অফিসে ‘নবজাগরণ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন তৈরির আলোচনা ঘিরেও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ বার বিজেপিতে যাওয়ার বিষয়টি সরাসরি নস্যাৎ না করে বরং সম্ভাবনাও জিইয়ে রাখলেন সব্যসাচী।
এ দিনই নৈহাটি পুরভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্না-অবস্থানে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সব নেতা-মন্ত্রীই সেই অবস্থানে সামিল হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর নাম থাকা সত্ত্বেও সেখানে সব্যসাচীর অনুপস্থিতি জল্পনা বাড়িয়েছে।
পাশাপাশি রাজ্যের আইপিএস মহলে একের পর এক বদলির সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করে সব্যসাচী বলেন, ‘‘পুলিশ উপরতলার আদেশে কাজ করে। যে সব পুলিশ উপরতলার নির্দেশে কাজ করে, তাদের ভূমিকা মানুষ সবসময় ভালোভাবে নেয় না।’’ কেন এত ঘনঘন পুলিশ-মহলে বদল হচ্ছে, তার কারণ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানতে অনুরোধ করেছেন সব্যসাচী।