—ফাইল চিত্র।
মালদহের গনির গড়ে পদ্মের চাষ আটকাতে না পারায় মালদহের পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়ে দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু চৌধুরী। জেলার নেতাদেরও সেই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন শুভেন্দু।
সেক্ষেত্রে শুভেন্দুর বদলে কে মালদহে তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হবেন, তা এখনও জেলার নেতারা জানেন না। জেলায় দলের কার্যকরী সভাপতি দুলাল সরকারের কথায়, ‘‘কলকাতায় দলনেত্রীর সঙ্গে বৈঠক রয়েছে। সেখানেই যা জানার জানানো হবে। এর বেশি কিছু জানি না।’’
জেলার তৃণমূল সূত্রের খবর, দলের জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের বাড়ি বৈষ্ণবনগরে। সেখানেই তিনি নিজের বুথে পর্যন্ত হেরে গিয়েছেন। এ ছাড়াও চার জন বিধায়ক রতুয়ার সমর মুখোপাধ্যায়, মোথাবাড়ির সাবিনা ইয়াসমিন, গাজলের দীপালি বিশ্বাস এবং ইংরেজবাজারের নীহার ঘোষদের নিজেদের এলাকায় বিজেপি তৃণমূলের চেয়ে বেশি ভোট পেয়েছে।
তবে বিজেপি-র এই বাড়বাড়ন্তর জন্য দলের মধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে। দলের অনেক কর্মীর কাজে অনীহাকেও কেউ কেউ দায়ী করছেন। মালদহের পর্যবেক্ষক শুভেন্দুও এই বিষয়ে অবহিত। প্রার্থী বাছাইয়ের সময় থেকেই নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল, সে কথা মনে করিয়ে দিচ্ছেন অনেকে।
তবে দক্ষিণ মালদহ আসনে বিজেপি প্রার্থী কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাক্তন আমলার পত্নী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী রাজনীতিতে পা রেখেই যে ভাবে ভোট পেয়েছেন সেটাও নজর কেড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলের।
মালদহে দু’টি পুরসভা। ইংরেজবাজার এবং পুরনো মালদহ। ইংরেজবাজার পুরসভার ২৯টি ওয়ার্ড। তার মধ্যে ২৯টিতেই ওয়ার্ডেই বিজেপি লিড পেয়েছে। পুরাতন মালদহের ২০টি ওয়ার্ডের সব ক’টিতেই বিজেপি-র জয়জয়কার। এখনই ভোট হলে কোনও আসনেই অন্য কোনও দলের জেতার কথা নয়।
সিপিএম থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়ে উত্তর মালদহে বরকতের গড়ে খগেন মুর্মু যে পরিমাণ ভোট পেয়েছেন তার জন্য মোদীকেই কৃতিত্ব দিচ্ছেন সিপিএম, কংগ্রেস এবং বিজেপি-র সদস্যরা। সিপিএমের পুরাতন মালদহের অঞ্চল কমিটির সম্পাদক প্রবীর লাহিড়ী বিজেপি-র এই জয়কে মোদীর জয় বলে মনে করছেন। তাঁর কথায়, ‘‘ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় মোদীকে আক্রমণ করে করে এই জায়গায় নিয়ে এসেছেন। বিজেপির কোনও সংগঠন নেই।’’ একই কথা, তৃণমূলের জেলা নেতা, রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘‘মেরুকরণের ভিত্তিতে ভোট হয়েছে। তার ফলেই বিজেপি জিতেছে।’’