প্রতীকী ছবি।
পারস্পরিক দোষারোপ আর ঝগড়ায় ভেস্তে গেল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের বৈঠক। শুধু তাই নয়, তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডাকা ওই বৈঠক ঘিরে বিশৃঙ্খলা তৈরি হল তৃণমূল ভবনে।
নির্বাচনের ফল পর্যালোচনায় শনিবার দলীয় বৈঠকে বসেছিলেন মমতা। সেই বৈঠকের পরে তিনি ছাত্রনেতাদেরও রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা করার নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশ মেনে
রবিবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি)-এর বৈঠক ডাকেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। লোকসভা ভোটের ফলের পর রাজ্যের কিছু কলেজে এবিভিপির সক্রিয়তা বেড়েছে। তার মোকাবিলার উপায় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল বৈঠকে। সংগঠনের প্রাক্তন দুই সভাপতি বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও অশোক রুদ্র বৈঠকে যোগ দিতে যান।
সংগঠন সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলার টিএমসিপি কর্মীরা তখন জড়ো হয়েছিলেন তৃণমূল ভবনে। তাঁদের মধ্যে কারা বৈঠকে থাকবেন, তা নিয়ে গোলমাল শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই সেখানে পৌঁছন তৃণাঙ্কুর এবং তাঁর আগে যিনি সভাপতি ছিলেন, সেই জয়া দত্ত। অভিযোগ, জয়ার অনুগামীদের বৈঠকে ঢুকতে নিষেধ করেন তৃণাঙ্কুর। কিন্তু জয়া তা মানতে চাননি। এই নিয়ে দু’ পক্ষের ঝগড়া এক সময় প্রায় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছয়। পরিস্থিতি দেখে বৈঠক বাতিল করে দেন বৈশ্বানর।
ঘটনার সময় উপস্থিত এক ছাত্রনেতা বলেন, ‘‘সভাপতি পদে বদলের দাবি উঠেছে। তাই এই বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। দলকে জানানো হয়েছে।’’ পরে বৈশ্বানর বলেন, ‘‘একটা সমস্যা হয়েছিল। খুব বড় গোলমাল নয়। আমরা আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেব।’’বৈঠকে বিশৃঙ্খলা বা মারামারির অভিযোগ মানতে চাননি তৃণাঙ্কুর এবং জয়া।