রিক্তা কুণ্ডু।
সত্যজিতের পুজোর অনুষ্ঠানে আমার যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশের স্পোর্টসের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে থাকায় আমি যেতে পারিনি। সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ সত্যজিৎ ফোন করে। বারবার যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তখন রত্না পৌঁছে গিয়েছে। আমার যেতে আরও আধঘণ্টা সময় লাগত। আমি বললাম, তুই রত্নাকে দিয়ে অনুষ্ঠানটা করিয়ে নে। ক্লান্ত ছিলাম। সবে কৃষ্ণনগর থেকে বেরিয়েছি। হঠাৎ এক কর্মী ফোন করে বলল, ‘‘দিদি সত্যজিৎ খুন হয়ে গিয়েছে।’’ কথাটা বিশ্বাস করতে পারিনি। ফের তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘‘কী বলছিস? কোন সত্যজিৎ?’’ বিধায়ক সত্যজিৎ শুনে মনে হল যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পড়েছে। ও সব সময় হাসত। সেই মুখটা ভীষণ মনে পড়ছিল। চালককে বললাম গাড়ি ঘুরিয়ে শক্তিনগর হাসপাতালে যেতে। ভীষণ কান্না পাচ্ছিল। হাসপাতালে ঢুকে যখন সাদা কাপড়ে মোড়া ওর দেহ দেখলাম, তখন আর নিজেকে সামলাতে পারিনি। অত্যন্ত পরিশ্রমী ছেলে ছিল। এখনও চোখ বন্ধ করলে ওর মুখটাই ভেসে উঠছে।