প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল থেকে উচ্চ আদালত পর্যন্ত বিস্তর আইনি লড়াইয়ের পরে সরকারি চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষার সমস্যা আপাতত মিটল। রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ১০৫ জন চিকিৎসক উচ্চশিক্ষা (এমডি, এমএস) নিতে যেতে পারবেন বলে জুনে রায় দিয়েছিল স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইবুনাল (স্যাট)। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত ও বিচারপতি শম্পা সরকারের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সেই রায়ই বহাল রেখেছে।
চিকিৎসকদের আইনজীবী প্রতীক ধর ও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানান, তাঁদের মক্কেলরা রাজ্যে সরকারের অনুমতি নিয়ে এমডি বা এমএস ডিগ্রি পাওয়ার জন্য সর্বভারতীয় পরীক্ষা দেন এবং উত্তীর্ণও হন। রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বিধি অনুযায়ী কর্মরত ডাক্তারদের ১০ শতাংশ উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাবেন এবং উচ্চশিক্ষার জন্য রাজ্য চিকিৎসকদের ‘স্পনসরশিপ’ (মাসিক বেতন পাওয়া ও সিনিয়রিটি বজায় থাকা) দেবে। কিন্তু ১০৫ জন চিকিৎসককে স্পনশরশিপ দিতে রাজি হচ্ছিল না রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
শেষ পর্যন্ত ওই চিকিৎসকেরা প্রশাসনিক ট্রাইবুনালে মামলা করেন। স্যাটের বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগ ও বিশেষজ্ঞ সদস্য সুবেশ দাস গত জুনে রাজ্যকে নির্দেশ দেয়, চিকিৎসকদের উচ্চশিক্ষায় অবশ্যই স্পনশরশিপ দিতে হবে। স্যাট তাদের রায়ে জানিয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে স্পনশরশিপ দিয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিতে হবে ওই চিকিৎসকদের।
স্যাটের সেই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আপিল মামলা দায়ের করে রাজ্য সরকার। তাদের আইনজীবীরা সওয়ালে বারবার জানান, কর্মরত চিকিৎসকেরা উচ্চশিক্ষা নিতে চলে গেলে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। কিন্তু উচ্চ আদালতের ডিভিশন বেঞ্চ শেষ পর্যন্ত স্যাটের ফয়সালা বহাল রাখায় নিজেদের আপিল মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। উচ্চশিক্ষার বাধা কাটল ডাক্তারদের।