Jagdeep Dhankar

BSF: বিএসএফ-বিতর্কে ‘সক্রিয়’ রাজ্যপাল

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:২৯
Share:

ফাইল চিত্র।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মোবাইল-বার্তা পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বলেছিলেন, ‘উদ্বেগজনক (ওরিসম) বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই।’ শনিবার ওই বার্তা পেয়ে মমতা ধনখড়কে জানান, তিনি ব্যস্ত আছেন। তাই মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিব রাজ্যপালের কাছে যাবেন। তাঁরা গিয়েছিলেন।

Advertisement

কী বিষয়ে আলোচনা হল? রাজভবন টুইট করে জানিয়েছে, রাজ্যপাল দুই শীর্ষ আমলাকে বিএসএফ ও রাজ্য পুলিশের মধ্যে ‘জরুরি ভিত্তিতে সমন্বয় এবং সহযোগিতা’র জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছেন। তাতে ফের বিতর্ক গড়াল। উত্তাপও বাড়ল নবান্ন এবং রাজভবনের মধ্যে। এ বার সেই উত্তাপের কেন্দ্রে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এলাকা বৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন সিদ্ধান্ত।

কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে আপত্তি জানিয়েছে রাজ্যের শাসক শিবির। গোড়ায় রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তার পর সীমান্তবর্তী একাধিক জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে সুর আরও চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এলাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব মানা দূরে থাক, নিজেদের এলাকায় বিষয়টি নিয়ে সতর্ক ও কড়া অবস্থানের জন্য রাজ্য পুলিশকে নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। তারপর এ দিন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকে ‘জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতা ও সমন্বয়’ ঘটাতে বলা হয়েছে।

Advertisement

রাজ্যপালের এ দিনের এই ভূমিকা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ধারাবাহিক ভাবে নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে রাজ্য সরকারের কাজে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। তিনি এ কথা বলার কে? রাজ্যের স্বার্থ দেখার দায়িত্ব ভুলে তিনি নিজের আর বিজেপির স্বার্থ দেখে চলেছেন। এতে সাংবিধানিক ব্যবস্থায় ধাক্কা লাগে।’’

হাওড়ায় অসুস্থ কার্টুনিস্ট নারায়ণ দেবনাথকে দেখতে গিয়ে এ দিনই ফের হাওড়া কর্পোরেশন আইন নিয়ে চলা বিতর্ককেও সামনে এনেছেন রাজ্যপাল। হাওড়া কর্পোরেশন সংক্রান্ত ওই আইনে রাজ্যপালের সম্মতি না মেলায় এখানে নির্বাচন করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গে রাজ্যপাল এ দিন ফের বলেন, ‘‘হাওড়া কর্পোরেশন আইন নিয়ে তথ্য চেয়েছি গত ২৪ নভেম্বর। আজও তা দেওয়া হয়নি।’’ স্পিকার নিজের সাংবিধানিক সীমা মানছেন না বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের ওই মন্তব্যের জবাবে স্পিকার বলেন, ‘‘রাজ্যপাল বিধানসভার কাছে যা চেয়েছেন সেই সব তথ্যই পাঠিয়েছি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন