প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত যশরাজ এবং নৃৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর। শনিবার। ছবি: সুমন বল্লভ।
প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়ার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। তাঁর কথায়, ‘‘উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতি হচ্ছে।’’ এ জন্য উপাচার্যকে সাধুবাদও জানান তিনি। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির সমন্বয়ে প্রেসিডেন্সি ভাল কাজ করছে বলে অভিমত আচার্য তথা রাজ্যপালের। তবে পড়ুয়াদের উদ্দেশে তাঁর সতর্কবার্তা, ‘‘এমন কিছু করবে না, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তিতে আঁচড় লাগে।’’
এই বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে দিন কয়েক আগে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মন্তব্য করেছিলেন, যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে যা হয়, তা মাইকে বলা যায় না। ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন মন্ত্রী। তাঁর পরামর্শ ছিল, অপসংস্কৃতি রুখতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় তিন বছর বন্ধ রেখে তাদের খোলনলচে বদলে ফেলা দরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের এ দিনের বক্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন শিক্ষক মহলের একাংশ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে এ দিন হাজির ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়কে রাজ্য সরকার সব রকম সহযোগিতা করছে। তবে পঠনপাঠনের পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের। এবং তা যেন গোটা দেশের কাছে অনুকরণীয় হয়। এ দিন স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের মোট ৩৩ জন পড়ুয়াকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। এঁদের মধ্যে ২২ জনই ছাত্রী।
সমাবর্তনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিজ্ঞানী দোরাইরাজন বালসুব্রমনিয়ন। ছিলেন নৃত্যশিল্পী অমলা শঙ্কর এবং সঙ্গীত শিল্পী পণ্ডিত যশরাজ।