আর্সেনিক ঠেকাতে কী করেছে রাজ্য, প্রশ্ন আদালতের

কমবেশি তিন দশক ধরে আর্সেনিক-দানবের দাপট নিয়ে হইচই চলছে। কিন্তু সেই দানবকে দমন করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিকের মোকাবিলায় ঠিক কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চাইল জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:২৮
Share:

কমবেশি তিন দশক ধরে আর্সেনিক-দানবের দাপট নিয়ে হইচই চলছে। কিন্তু সেই দানবকে দমন করা যায়নি। এই পরিস্থিতিতে কলকাতা-সহ গোটা পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিকের মোকাবিলায় ঠিক কী পরিকল্পনা করা হয়েছে, রাজ্য সরকারের কাছে তা জানতে চাইল জাতীয় পরিবেশ আদালত।

Advertisement

কী কী জানাতে হবে, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে পরিবেশ আদালতের বিচারপতি এস পি ওয়াংদি এবং বিশেষজ্ঞ-সদস্য পি সি মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ। তারা সোমবার জানিয়েছে, আর্সেনিক-দূষিত প্রতিটি এলাকায় পরিস্রুত জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য কী ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে, সরকারকে তা-ও জানাতে হবে। সেই সঙ্গে জানাতে হবে, আর্সেনিকের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এত বছরে কত অর্থসাহায্য দিয়েছে। সেই টাকা কবে কোথায় কী ভাবে খরচ করা হয়েছে, তারও হিসেব দিতে হবে রাজ্যকে।

এ রাজ্যে প্রথম আর্সেনিকের দূষণ ধরা পড়ে আশির দশকে। এই বিষাক্ত উপদ্রব ঠেকাতে এত দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু মোকাবিলা দূরের কথা, এই দূষণ উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে বলে জানাচ্ছেন পরিবেশবিদেরা।

Advertisement

ভূগর্ভে লুকিয়ে থাকা এই রাসায়নিক দানবের দাপট নিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতে মামলা দায়ের করেন পরিবেশকর্মী সুভাষ দত্ত। সেই মামলায় রাজ্য জানিয়েছিল, কেন্দ্রীয় সরকার এই খাতে বরাদ্দ কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ দিন কেন্দ্রের তরফে আদালতে হলফনামা দিয়ে জানানো হয়েছে যে, তারা বরাদ্দ কমায়নি।

আর্সেনিকের দূষণ যে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে, তার প্রমাণ মিলেছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্টেও। তারা গাইঘাটা ব্লকের ৫৫টি নলকূপের জল পরীক্ষা করে জানিয়েছে, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬-র সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই ব্লকের ২৯টি নলকূপের জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেড়ে গিয়েছে।

জাতীয় পরিবেশ আদালত এ দিন জানায়, জাতীয় পরিবেশ প্রযুক্তি এবং গবেষণা সংস্থা (নিরি)-র বিশেষজ্ঞেরা গাইঘাটার ওই এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন এবং কী ভাবে আর্সেনিকের মোকাবিলা করা যায়, তার উপায় বাতলাবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন