পাহাড়ে কি ভোট আসছে, জল্পনা

দার্জিলিংয়ে তাই জোর জল্পনা, পঞ্চায়েত ভোটের পরেই হয়তো ভোট হতে পারে পাহাড়ে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০১৮ ০৫:১৫
Share:

বিনয় তামাং। ফাইল চিত্র।

ঠিক ছিল দিল্লি যাবেন। কিন্তু কলকাতায় কয়েক জন মন্ত্রী ও প্রশাসনের কর্তাব্যক্তির সঙ্গে আলোচনার পরে পাহাড়ে ফিরে এসেছেন বিনয় তামাং, অনীত থাপারা। বিনয়রা ফিরতেই মোর্চার তরফে বুধবার জিটিএ ভোটের জন্য প্রস্তুতি শুরু করার কথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দার্জিলিংয়ে তাই জোর জল্পনা, পঞ্চায়েত ভোটের পরেই হয়তো ভোট হতে পারে পাহাড়ে।

Advertisement

জিটিএ-র মেয়াদ ছ’মাস বাড়িয়েছে রাজ্য। তার তত্ত্বাবধায়ক প্রধান করা হয়েছে বিনয় তামাংকে। উন্নয়নের কাজ জারি রাখতে জিটিএ-কে কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারই অর্থ সাহায্য করেছে। মোর্চা সূত্রে ইঙ্গিত, কিন্তু এই ভাবে তত্ত্বাবধায়ক পর্ষদ চালু না রেখে পাহাড়ে ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসতে আগ্রহী দলের একাংশ। মোর্চার সহ-সভাপতি সতীশ পোখরেলও বলেছেন, ‘‘আমজনতার রায় নিয়েই আমরা পাহাড়ের উন্নয়নের কাজ করতে চাই। সে জন্য সংগঠনে জোর দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে গ্রামে কমিটির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। আমরা জনতার রায় নেওয়ার জন্য সব রকম প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’

গত সোমবার থেকে টানা তিন দিন কলকাতায় ছিলেন বিনয় ও অনীত। জিটিএ সূত্রের খবর, কলকাতায় বৈঠক সেরে দিল্লিতে গিয়ে পাহাড়ের ১১টি সম্প্রদায়কে অনগ্রসর শ্রেণি ভুক্ত করার জন্য আর্জি জানানোর কথা ছিল তাঁদের। সূত্রের খবর, কলকাতায় বিভিন্ন কাজে একাধিক মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন দু’জনে। তখনই জিটিএ ভোটের বিষয়টি ওঠে। তখনই পাহাড়ে ভোটের প্রস্তুতি নিতে জরুরি ভিত্তিতে নেমে পড়ার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন বিনয়-অনীত।

Advertisement

প্রশাসনিক স্তরে আলোচনার বিষয়টি এ দিন বিনয় নিজেই জানিয়েছেন। একই সঙ্গে বলেছেন, ‘‘বর্তমানে গোর্খাদের যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তা প্রশাসনের মাধ্যমে বিলি হয়ে থাকে। সেটা জিটিএ দেবে বলে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।’’ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন উপশ্রমমন্ত্রী তথা সিকিমের নামী সাহিত্যিক শিবকুমার রাইয়ের জন্মদিন উপলক্ষে আজ, বৃহস্পতিবার সিকিম যাবেন তাঁরা। বিনয় জানান, মুখ্যমন্ত্রীও শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন এই উপলক্ষে।

বিনয় নিজে না বললেও মোর্চার ইঙ্গিতের পরে পাহাড়ে ভোটের জল্পনা তুঙ্গে। আর বিমল গুরুং? একদা গুরুংয়ের ঘনিষ্ঠ যুব নেতা তথা বর্তমানে যুব মোর্চার সভাপতি অলককান্ত মণি থুলুং বলেন, ‘‘বিমল গুরুংয়ের অধ্যায় পাহাড়ে শেষ। শান্তি বজায় রেখে উন্নয়ন চলছে। জনতার রায় নিয়ে নতুন অধ্যায় শুরু হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন