সভায় যাবেন না, আবার বার্তা গুরুঙ্গের

সোমবারের বৈঠকেই মোর্চা প্রধানের পদ থেকে বিমলকে সরিয়ে বিনয়ের অভিষেক হওয়ার কথা। আর সেই দিন যত ঘনীয়ে আসছে, ততই সুর নরম করছেন বিমল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দার্জিলিং ও শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:২৬
Share:

পাহাড়বাসীর প্রতি আবেদন ঝরে পড়ছে বিমল গুরুঙ্গের গলায়।

দার্জিলিঙের সমাবেশ এবং মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই পাহাড়বাসীর প্রতি করুণ আবেদন ঝরে পড়ছে বিমল গুরুঙ্গের গলায়। শুক্রবারও তিনি একটি অডিও বার্তায় আবেগমথিত গলায় সকলকে জানান, কেউ যেন বিনয় তামাঙ্গদের সভায় না যায়!

Advertisement

গুরুঙ্গের এই আবেদনে থামার কোনও ইচ্ছে অবশ্য বিনয়দের নেই। বিনয় এবং অনীত থাপা মিলে এক যৌথ বিবৃতিতে এ দিন জানিয়েছেন, আগামী ২০ নভেম্বর দার্জিলিঙের মারোয়াড়ি ভবনে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হবে। তার আগের দিনই চকবাজারে দলীয় সমাবেশ থেকে শীর্ষ পর্যায়ে রদবদলের ইঙ্গিতও দেওয়া হবে বলে মোর্চা সূত্রে খবর। বিনয়-অনীতের আশা, ওই সমাবেশে চকবাজারে ভিড় উপচে পড়বে।

সোমবারের বৈঠকেই মোর্চা প্রধানের পদ থেকে বিমলকে সরিয়ে বিনয়ের অভিষেক হওয়ার কথা। আর সেই দিন যত ঘনীয়ে আসছে, ততই সুর নরম করছেন বিমল। এ দিনও প্রায় কাঁদো কাঁদো গলায় পাহাড়বাসীদের প্রতি তাঁর আর্জি, ‘‘১৯ নভেম্বর কালা দিবস। পাহাড় থেকে ওরা (বিনয়-অনীত) বিমল গুরুঙ্গের নাম মুছতে চায়। তাই ওই সভায় কেউ যাবেন না।’’ নিজেকে বাজি রেখে এর পরে তাঁর ফের ঘোষণা, ‘‘আমি দ্রুত জনতার মাঝে আসব।’’ বিনয়-অনীতকে আক্রমণও করতে ছাড়েননি তিনি। কিন্তু গুরুঙ্গের এই বিবৃতিতে হেলদোল নেই বিনয় শিবিরের। তাদের বক্তব্য, তাঁর প্রভাব যে দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে, সেটা বুঝতে পেরেই এই সব কান্নাকাটির পথ নিয়েছেন গুরুঙ্গ। কিন্তু যে নেতা জঙ্গলে লুকিয়ে থাকেন, তাঁর কান্নায় আর ভুলছে না পাহাড়বাসী। তবে পাহাড়ের একাংশ বলছেন, গুরুঙ্গের আর্তি সরিয়ে চকবাজারে রবিবার কত লোক হয়, সেটাই বিনয়দের পরীক্ষা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন