আগুন লাগার পর সাত মাস এমনিই পড়ে ছিল তালাবন্ধ অবস্থায়। তবে নভেম্বরে তড়িঘড়ি বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের প্রাণিবিদ্যার আধপোড়া সংগ্রহশালা কোনও রকমে সংস্কার করে চালু করে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনে (ইউজিসি) অভিযোগ জানান ওই বিভাগেরই এক শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা এনা রায় বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কাল, সোমবার ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক) পরিদর্শনে আসবে বলেই তড়িঘড়ি গত ১৪ ডিসেম্বর সংগ্রহশালার উদ্বোধন করা হয়েছে।
ওই শিক্ষিকার অভিযোগ, ২১ মার্চ সংগ্রহশালার বাইরে করিডরে আগুন লাগার পর আট মাস সংগ্রহশালা বন্ধ ছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন ফেলে রাখার ফলে বহু নমুনা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সংস্কারের ধরন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই শিক্ষিকা।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই অভিযোগ মানতে নারাজ। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অবশ্য ওই অভিযোগ মানতে নারাজ। উপাচার্য আশুতোষ ঘোষ বলেন, ‘‘সংগ্রশালায় মাঝেমধ্যে বিভাগের শিক্ষকেরা গিয়ে কাজ করেছেন।’’ এনাদেবী দাবি করছেন, অনভিজ্ঞ লোকজনকে দিয়ে সংস্কারের কাজ হয়েছে, বহু নমুনার খোঁজ মিলছে না। তাঁর কথায়, ‘‘নাক-এর চোখে ধুলো দিয়ে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য এই অসদুপায় অবলম্বন।’’ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের দাবি, দ্রুত সংস্কারের জন্য ভারতীয় প্রাণী সর্বেক্ষণের অধিকর্তা কৈলাশ চন্দ্রকে অনুরোধ করা হয়েছিল। প্রাণী সর্বেক্ষণের বিজ্ঞানীদের তত্ত্বাবধানেই সেই কাজ হয়েছে। সংগ্রহশালা কমিটির প্রধান গৌতম সাহার দাবি, ‘‘নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমেই দ্রুত কাজ শেষ হয়েছে।’’