কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপি-র প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি রাজনাথ সিংহ বুধবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এলেন। রাজভবনে থাকলেন। বৃহস্পতিবার সরকারি কর্মসূচি সারলেন। কিন্তু তাঁকে কার্যত এড়িয়ে গেল রাজ্য বিজেপি।
দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কৈলাস বিজয়বর্গীয়, যুগ্ম সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ বৃহস্পতিবার সাংগঠনিক কাজে শিলিগুড়িতে ছিলেন। রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক দেবশ্রী চৌধুরী এবং প্রদীপ মিশ্র বুধবার কলকাতা বিমানবন্দরে গিয়ে মন্ত্রীকে অভ্যর্থনা করে রাজভবনে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপি-র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিংহ এবং রাজ্যের সম্পাদক রীতেশ তিওয়ারি রাজনাথের সঙ্গে দেখা করেন এ দিন।
বিজেপি-র একাংশের মতে, রাজনাথের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ঘনিষ্ঠতা সুবিদিত। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যে রাজনৈতিক সভায় বক্তৃতা করতে এসেও মমতার বিরুদ্ধে কোনও শব্দ খরচ করেননি রাজনাথ। তা ছাড়া, যে সব বিজেপি কর্মীরা নিয়মিত গ্রামে-গঞ্জে তৃণমূল এবং পুলিশের হাতে নিগৃহীত হচ্ছেন, তাঁরাও রাজনাথের মমতা-বান্ধব মনোভাব পছন্দ করেন না। এই সব সমীকরণ মাথায় রেখেই দিলীপবাবুরা শিলিগুড়িতে কর্মসূচি রেখে রাজনাথকে এড়িয়ে গিয়েছেন বলে বিজেপি-র একাংশের ব্যাখ্যা।
দিলীপবাবুকে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে নিয়মিতই কোনও না কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আসেন। সংগঠনের কাজে কেউ এলে আমরা থাকি। কিন্তু সরকারি কাজে এলে সব সময় তা হয়ে ওঠে না।’’
আর রাহুলবাবুর বক্তব্য, ‘‘দলের পদাধিকারীরা অন্যত্র কাজে আছেন। আমার যাওয়া মানে রাজ্য নেতৃত্বের যাওয়াই হল।’’