Higher Secondary Exam

HCS: নিজের নিজের স্কুলেই আজ শুরু উচ্চ মাধ্যমিক

প্রায় সব জেলাতেই পরীক্ষার সময় যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২২ ০৭:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

সরকারি ভাবে করোনার নিয়ন্ত্রণ বিধি প্রত্যাহৃত হলেও মাস্ক, পারস্পরিক দূরত্ব, হাতশুদ্ধির মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনেই আজ, শনিবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। চলবে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত। পরীক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাত লক্ষ পঁয়তাল্লিশ হাজার। অতিমারির প্রকোপে গত বার পরীক্ষা হয়নি। এ বার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ‘হোম সেন্টার’ অর্থাৎ নিজের নিজের স্কুলেই পরীক্ষা দেবে। পরীক্ষাসূচির মধ্যেই আসানসোল লোকসভা কেন্দ্র এবং বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন পড়ে যাওয়ায় ৬ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত উচ্চ মাধ্যমিকের কোনও পরীক্ষা হবে না।

Advertisement

একাধিক বার সূচি বদলের পরে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য শুক্রবার বলেন, ‘‘পরীক্ষার দিন প্রথমে যখন ঘোষণা করা হয়, তখন করোনা পরিস্থিতি ভাল ছিল না। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে তখন হোম সেন্টারে পরীক্ষার সিদ্ধান্ত হয়।’’ এ বার ৬৭২৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে সব পরীক্ষা কেন্দ্রে বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকবেন। যে-দিন যে-বিষয়ের পরীক্ষা হবে, সেই দিন সেই বিষয়ের কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা নজরদারির দায়িত্বে থাকতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছে সংসদ।

বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকবেন না বলে সংসদ নির্দেশ দিলেও শিক্ষক-সঙ্কটের দরুন প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকারা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নজরদারের দায়িত্ব দিতে বাধ্য হচ্ছেন বলে জানালেন ‘অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার-হেডমিস্ট্রেসেস’ সংগঠনের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক নিমাই পাল। এই ব্যাপারে স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) অমরকুমার শীলের বক্তব্য জানা যায়নি।

Advertisement

উত্তর দিনাজপুরে নির্বিঘ্নে পরীক্ষা পর্ব শেষ করতে জেলার প্রতিটি ব্লকে বিডিও এবং এক জন করে বিশেষ আধিকারিক পরীক্ষা পরিচালনা সংক্রান্ত পুরো বিষয়ের উপরে নজরদারি চালাবেন। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ অনেক জেলার স্কুলে শুক্রবার বেঞ্চ মেরামত ও আলো-পাখা ঠিকঠাক করতে দেখা যায়। শ্রেণিকক্ষ সাফসুতরো করা, বেঞ্চে রোল নম্বর লেখা কাগজ লাগানোর প্রক্রিয়াও চলে সর্বত্র। বীরভূম, হুগলি-সহ বহু জেলার পরীক্ষা কেন্দ্রে ‘সিক রুম’-এর পাশাপাশি ‘আইসোলেশন রুম’-এর ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে দেখা যায় কর্তৃপক্ষকে। পর্যাপ্ত মাস্ক ও স্যানিটাইজ়ার থাকছে। দূরত্ব-বিধি মেনে পরীক্ষার্থীদের বসানোর ব্যবস্থা হচ্ছে। বর্ধমান মেডিক্যালের কোভিড নোডাল অফিসার কৌস্তুভ নায়েক বলেন, ‘‘নিয়ন্ত্রণ বিধি প্রত্যাহৃত হলেও এখনই লাগামছাড়া হয়ে পড়লে বিপদ। যেখানে পড়ুয়াদের স্বার্থ জড়িয়ে, সেখানে বিধি মানাই উচিত।’’ পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম জেলার স্কুলগুলিতে সেন্টার ইনচার্জ ও সেন্টার সেক্রেটারিদের বাড়তি সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব বর্ধমানে এ বার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। আসানসোলে উপনির্বাচনের প্রচার চলছে। কিন্তু পরীক্ষার সময় মাইক বাজিয়ে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রায় সব জেলাতেই পরীক্ষার সময় যানজট এড়াতে পর্যাপ্ত পুলিশি ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন