অবস্থার অবনতি, সিসিইউয়ে নির্যাতিতা

বছরভর নির্মম অত্যাচারের পরে ডায়মন্ড হারবারের আয়েশা বেঁচে ফিরতে পেরছিল। কিন্তু দিল্লিতে উদ্ধারের পরে মালদহের তরুণী অনামিকার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৩:১৫
Share:

বছরভর নির্মম অত্যাচারের পরে ডায়মন্ড হারবারের আয়েশা বেঁচে ফিরতে পেরছিল। কিন্তু দিল্লিতে উদ্ধারের পরে মালদহের তরুণী অনামিকার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক।

Advertisement

গত শনিবার রাতে উদ্ধারের পরে শারীরিক অবস্থা খারাপ হতে থাকায় অনামিকাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখান ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ)-এ তাঁর চিকিৎসা চলছিল। নড়াচড়া করতে না-পারলেও সে-দিন তিনি কথা বলতে পারছিলেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থা আবার খারাপ হতে শুরু করে। চিকিৎসকেরা সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে আইসিইউ থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ)-এ সরিয়ে নিয়ে যান।

হাসপাতাল সূত্রে বৃহস্পতিবার জানানো হয়েছে, ওই তরুণীকে এমন ভাবে মারধর করা হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙেছে। ফুলে গিয়ে নীল হয়ে গিয়েছে হাত-পা। মারাত্মক চোট রয়েছে মেরুদণ্ড এবং মাথায়। মেরুদণ্ডের চোট বেশ গুরুতর। তাই নড়াচড়া করতে পারছেন না ওই তরুণী। লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করার ফলেই এই অবস্থা। তার উপরে প্রোটিনেরও অভাব রয়েছে শরীরে। অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। চিকিৎসকেরা প্রাণপণ চেষ্টা চালালেও কোনও রকম আশার কথা শোনাতে পারেননি।

Advertisement

শনিবার রাতে অনামিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করার খবর দেওয়া হয় দিল্লির মহিলা কমিশনকে। সেই কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল হাসপাতালে পৌঁছে দেখেন, ওই তরুণীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। কোনও রকম নড়াচড়া করার ক্ষমতা নেই। অনামিকা মহিলা কমিশন এবং দিল্লির উত্তর-পশ্চিম বিভাগের পুলিশের কাছে জানান, তিনি যে-বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন, তার মালিক এবং গৃহকর্ত্রী নানা ছুতোয় তাঁকে লোহার রড দিয়ে পেটাতেন। তাই এই অবস্থা।

রাজ্য সরকারের তরফে প্রতিনিধিত্বকারী হিসেবে ঋষিকান্ত দিল্লির মহিলা কমিশন ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অনামিকার দেখভাল করছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement