ছবি: সংগৃহীত
দার্জিলিঙে অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই, নতুন করে তেতে ওঠার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে কোচবিহারে।
আগামীকাল, সোমবার গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের নেতা বংশীবদন বর্মন আলাদা রাজ্যের দাবিতে পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন। প্রায় কুড়ি হাজার কর্মী-সমর্থক তাতে যোগ দেবেন বলে তাঁর দাবি। গোসানিমারি থেকে শুরু হয়ে পদযাত্রা শেষ হবে পঁচিশ কিলোমিটার দূরে কোচবিহারের সাগর দিঘির পাড়ে বীর চিলা রায়ের মূর্তির পাদদেশে। সেখান থেকে জেলাশাসককে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা তাঁদের। গ্রেটারের আন্দোলন ঘিরে পুলিশি তৎপরতা তুঙ্গে।
পুলিশ জানিয়েছে ওই পদযাত্রার জন্য কোনওরকম অনুমতি নেয়নি গ্রেটার। সে ক্ষেত্রে পদযাত্রার শুরুতেই তা আটকে দেওয়া হতে পারে। কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল অবশ্য এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। তিনি বলেন, “মিছিলের জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।” কোচবিহারে জেলাশাসক কৌশিকও জানান, ওই আন্দোলনের জন্য পুলিশের কাছে কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি।
গ্রেটার কোচবিহারের নেতা বংশীবদন বর্মন অবশ্য ওই পদযাত্রার জন্য আলাদা করে কোনও অনুমতি নিতে হবে বলে মনে করেন না। তিনি বলেন, “আমরা জেলাশাসককে ইতিমধ্যেই ওই আন্দোলনের বিষয়ে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। এখানে আর নতুন করে অনুমতির কি প্রয়োজন আছে। কোচবিহারের ভারত-ভুক্তি চুক্তির রূপায়নের দাবিতে আমরা লড়াই করছি। সেই অধিকার কোচবিহারে মানুষের রয়েছে।”
২০০৫ সালে গ্রেটারের অনশন আন্দোলন ঘিরে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছিল গোটা কোচবিহার। সেদিনও চার পাশ থেকে ছোট, বড় মিছিল জেলাশাসকের দফতরে যাওয়ার চেষ্টা করে। রাস্তায় তা আটকে দেয় পুলিশ। গণ্ডগোলের জেরে ৩ পুলিশ কর্মী সহ ৫ জনের মৃত্যু হয়। এ বারে যাতে তেমন কোনও পরিস্থিতি তৈরি না হয় সেদিকে ভেবে সতর্ক পুলিশ।