স্থানীয়রা হাত লাগিয়েছেন উদ্ধারকাজে। ছবি: রয়টার্স।
লাগাতার বৃষ্টিতে, ধস নেমে বিপর্যস্ত পাহাড়। রাত দু’টো নাগাদ কালিম্পং ও মিরিকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধস শুরু হয়। বেশির ভাগ মানুষই তখন ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা প্রচণ্ড আওয়াজ পেয়ে তাঁরা বাইরে এসে দেখেন, পাহাড় থেকে বিশালাকার পাথরের চাঁই নেমে আসছে জনবসতির উপর। পাথরের চাপে ভেঙে যাচ্ছিল গাছপালা। গুঁড়ো পাথর ছিটকে আসছিল গুলির মতো। নিমেষে গুঁড়িয়ে যায় বাড়ি ঘর রাস্তা। মিরিকের তিননিং বস্তির বাসিন্দা দীক্ষা থাপা জানান, রাত সোওয়া দু’টো নাগাদ বাইরে তীব্র আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায় তাঁর। ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন বাবা,মা, ঠাকুমা ও তাঁর একমাত্র শিশুপুত্র। তাঁর কথায়, ‘‘লোকজনের চিৎকার শুনে ঘরের বাইরে বেরিয়েছিলাম। তখনই বুঝতে পারি কী ঘটতে চলেছে। এরপরেই সবাইকে নিয়ে কোনওমতে বাড়ির বাইরে চলে আসি। এরপরেই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়ে। আমার ঠাকুমার অল্প চোট লেগেছে।’’
জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, এখনও পর্যন্ত মিরিকে ২০ জন ও কালিম্পঙে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন সাতজন।তবে বেসরকারি মতে মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। কয়েকটা জায়গায় সেতুও ভেঙে যাওয়ায় ত্রাণের কাজ ব্যাহত হয়। কী কারণে এই ধস , তা খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন ভূবিজ্ঞানীরা। তবে বেশ কয়েকদিন ধরেই পাহাড় ও লাগোয়া এলাকায় জোর বৃষ্টি হচ্ছিল।