—ফাইল চিত্র।
অনুপ্রবেশের কারণে পশ্চিমবঙ্গের সীমান্ত এলাকায় জনবিন্যাস বদলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন সময়েই। গত বছর বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতির সময় তা বেড়েওছিল বলে জানিয়েছিল সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ বার অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক রাজ্যসভায় জানাল, গত আড়াই বছরে কত জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়েছেন পশ্চিমবঙ্গে।
পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের কত কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া নেই, তা নিয়ে লিখিত প্রশ্ন করেছিলেন দুই বিজেপি সাংসদ শম্ভুশরণ পটেল এবং নীরজ শেখর। পাশাপাশি এ-ও জানতে চাওয়া হয়েছিল, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া না-থাকার কারণে কি অনুপ্রবেশ বাড়ছে?
সেই সব প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়েই গত ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ৩১ জুলাই পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে কত জন অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন, তার হিসাব দিয়েছেন শাহের মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাই। জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন ১৫৪৭ জন। ২০২৪ সালে ১৬৯৪ জন এবং ২০২৫ সালের অগস্ট পর্যন্ত ৭২৩ জন। অর্থাৎ, চলতি বছরে গড়ে কম আগের দু’বছরের তুলনায়।
শাহের মন্ত্রক জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত রয়েছে ২২১৬.৭ কিলোমিটার জুড়ে। তার মধ্যে কাঁটাতারের বেড়া রয়েছে ১৬৪৭.৬৯ কিলোমিটার এলাকায়। ৫৬৯ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া নেই। তার মধ্যে ১১২.৭৮ কিলোমিটার এলাকায় বেড়া বসানো সম্ভবও হয় নানা কারণে। ৪৫৬.২২ কিলোমিটার এলাকায় সম্ভব। কিন্ত কাজ এখনও বাকি। ওই ৪৫৬.২২ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৭৭.৯৩ কিলোমিটার এলাকায় কাজ চলছে। বাকি ২২৯.৩১ কিলোমিটারের জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। ১৪৮.৯৭১ কিলোমিটার জমি অধিগ্রহণের কাজই শুরু হয়নি।