পেঁয়াজ রাখার এই কাঠামো তৈরিতেই ভর্তুকি। ছবি: মধুমিতা মজুমদার।
পেঁয়াজ ছাড়া হেঁশেল চলে না। অথচ বাজারে পেঁয়াজের দাম অগ্নিমূল্য। শুধু এবারই নয়। জোগান কম থাকায় প্রতিবারই পুজোর আগে পেঁয়াজের বাজার চড়ে। শীতকালীন পেঁয়াজ ঠিক ভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে কিন্তু এই অবস্থা হয় না।
কী ভাবে সংরক্ষণ হবে?
জমিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ গাছ সমেত পেঁয়াজ তুলে নিয়ে প্রথমে ছায়া যুক্ত স্থানে শুকিয়ে নিতে হয়। এরপর চার থেকে পাঁচ কেজি করে এক-একটি গোছা বানিয়ে বাড়িতেই পাঁচ থেকে ছ’ফুট উচ্চতার বাঁশ বা কাঠের বিমের উপরে গাছ-সহ গোছা ঝুলিয়ে দিতে হবে। একই ঘরে ফুট দু’য়েকের ব্যবধানে একধিক বাঁশ-সহ নানা জায়গায় ঝোলানো যায় পেঁয়াজের গোছা। শুধু খেয়াল রাখতে হবে, সেখানে বায়ু চলাচল যেন ভাল থাকে। অতিরিক্ত গরমে দু-একটি পেঁয়াজের গোছায় পচন ধরলেও ঝামেলা নেই। কারণ পচা পেঁয়াজ গোছা থেকে খসে পরে মেঝেতে। এই পদ্ধতিতে পেঁয়াজের ওজন কিছুটা কমলেও পরের বছরের জন্য বীজ সংরক্ষণ করা যায় অনায়াসে।
পচন রোখার বিজ্ঞানটা কী?
জেলা উদ্যান পালন দফতরের এক সহ-অধিকর্তা পলাশ সাঁতরা জানান, প্রথমেই শুকিয়ে নেওয়ার ফলে ছত্রাকের সংক্রমণ হয় না। দ্বিতীয়ত, খোলা জায়গায় ঝুলিয়ে রাখলে যেটুকু জলীয় ভাব থাকে সেটাও উবে যায়। পলাশবাবু জানান, অবাধ বায়ু চলাচল করতে পারে এমন বাঁশের এবং খড়ের ছাউনি দেওয়া কম খরচের কাঠামো (জুতো রাখার তাকের মতো দেখতে) তৈরি করেও রাখা যায় পেঁয়াজ। স্বল্প খরচের এক-একটি কাঠামো পাঁচ মিটার লম্বা, দেড় মিটার চওড়া হয়। এই ধরনের কাঠামো তৈরির জন্য কৃষকদের ভর্তুকি দেওয়ার প্রক্রিয়া সরকারি ভাবে শুরু হয়ে গিয়েছে।