Tribeni

ডাকাত পালানোর আগেই এল পুলিশ! ত্রিবেণীতে ধৃত তিন

ফোন পেয়েই মগরা থানার পুলিশ হাজির হয়ে যায় প্রতাপের বাড়িতে। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যায় তিন জন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ত্রিবেণী শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫৪
Share:

ত্রিবেণীতে পুলিশের জালে দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র।

পুলিশের সক্রিয়তায় ধরা পড়ল ডাকাতি করতে আসা তিন দুষ্কৃতী। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার ত্রিবেণীতে।

Advertisement

ত্রিবেণীর পালপাড়ায় বাড়ি প্রতাপ সিংহের। তিনি বিএসএফ-এ কর্মরত। রাজস্থানে তাঁর পোস্টিং থাকলেও বর্তমানে ছুটিতে বাড়িতেই রয়েছেন। রবিবার রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পাঁচ-ছ’জনের একটি দুষ্কৃতী দল। প্রতাপ জানিয়েছেন, রান্নাঘরের জানলা ভেঙে ঘরে ঢোকে দুষ্কৃতীরা। সে সময় দোতলার ঘরে ঘুমচ্ছিলেন প্রতাপের বাবা এবং ছেলে। তাঁদের আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে ভয় দেখানোর পাশাপাশি লোহার রড দিয়ে মারধর করেছে বলেও জানিয়েছেন প্রতাপ। চিৎকার শুনে এক তলায় শুয়ে থাকা বাড়ির লোকেরা ফোন করেন পুলিশে।

ফোন পেয়েই মগরা থানার পুলিশ হাজির হয়ে যায় প্রতাপের বাড়িতে। পুলিশ দেখে দুষ্কৃতীরা চম্পট দেওয়ার চেষ্টা করলেও ধরা পড়ে যায় তিন জন। অভিযোগ, সময়ে পুলিশ আসা সত্ত্বেও লক্ষাধিক টাকার গয়না নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। প্রতাপের বাবা হরিনাথ সিংহ বলেছেন, ‘‘আমি নাতিকে নিয়ে শুয়েছিলাম। ডাকাতরা বন্দুক দিয়ে ভয় দেখায়। নাতি বাধা দিলে ওকে মারতে থাকে। আমার মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছে। ছোট মেয়ের বিয়ের গয়না ছিল। সব নিয়ে গিয়েছে।’’

Advertisement

মগরা থানার পুলিশ ধৃতদের জেরা করে তাদের বাকি সঙ্গীদের ব্যাপারে জানার চেষ্টা চালাচ্ছে। ধৃতেরা হলেন বিভাস শিকদার, আকাশ মণ্ডল, প্রসেন মণ্ডল এবং গৌতম রায়। এর মধ্যে প্রথম তিন জন কল্যাণীর বাসিন্দা। গৌতম বিশপাড়ার বাসিন্দা।সঠিক সময়ে পৌঁছে যাওয়ায় মগরা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে প্রতাপের পরিবার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন