Hooghly TMC Leader Murder Case

৩ লক্ষ টাকার সুপারি দিয়ে তৃণমূল নেতাকে খুন! হুগলিকাণ্ডের কারণ জানাল পুলিশ, গ্রেফতার মোট তিন

গত বুধবার সন্ধ্যায় কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডের কাছে নিজের দোকানের সামনে খুন হন পিন্টু। কাটারি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে মারা হয় তাঁকে। ওই ঘটনায় বারাসত এবং বেলঘরিয়া এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০২৫ ১৬:৫০
Share:

হুগলিতে তৃণমূল নেতা খুনে গ্রেফতার তিন জন। —নিজস্ব চিত্র।

তৃণমূল নেতা পিন্টু চক্রবর্তীকে খুনের জন্য ৩ লক্ষ টাকার সুপারি দেওয়া হয়েছিল। হুগলির কানাইপুর পঞ্চায়েত সদস্যের খুনের নেপথ্যে ছিল জমি কেনাবেচা সংক্রান্ত গন্ডগোল। শনিবার এমন তথ্যই দিল পুলিশ।

Advertisement

গত বুধবার সন্ধ্যায় কানাইপুর অটোস্ট্যান্ডের কাছে নিজের দোকানের সামনে খুন হন পিন্টু। কাটারি দিয়ে তাঁকে কুপিয়ে মারা হয়। ওই ঘটনায় পিন্টুর এক বন্ধু তথা ব্যবসায়ী পার্টনারকে আটক করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বারাসত এবং বেলঘরিয়া এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যাচ্ছে, কানাইপুরেরই বাসিন্দা বিশ্বনাথ দাস ওরফে বিশা তিন লক্ষ টাকা দিয়ে ভাড়া করেছিলেন শাসনের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ প্রামাণিক এবং বারাসাতের দীপক মণ্ডলকে। ওই দু’জন খুনের বরাত নেন।

পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, খুনের দু’দিন আগে থেকে বিশার বাড়িতে আশ্রয় নেন দুই ভাড়াটে খুনে। দু’দিন তাঁরা এলাকা টহল দেন। জানা যায়, খুনের পর কিছুটা হেঁটে এগিয়ে গিয়েছিলেন দু’জনে। তার পর তাঁদের সেখান থেকে স্কুটারে করে স্টেশনে পর্যন্ত পৌঁছে দেন মূল চক্রী।

Advertisement

তদন্তে নেমে প্রথমেই সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। দেখা যায়, খুনের জন্য কাটারি ব্যবহার করেছিলেন আততায়ীরা। খুনের পর তাঁরা কী ভাবে পালাচ্ছিলেন, সেই ফুটেজও দেখা গিয়েছে। তার আগে এলাকা ঘুরেছিলেন। কারও সঙ্গে ফোনে কথা বলছিলেন। সেই দৃশ্যও ধরা পড়েছে এলাকার সিসিটিভিতে। ডিসিপি (শ্রীরামপুর) অর্ণব বিশ্বাস বলেন, ‘‘জমি বিবাদের জেরে এই খুন বলে এখনও পর্যন্ত জানা গিয়েছে। এর পিছনে রাজনৈতিক কোনও কারণ পাওয়া যায়নি। ভাড়াটে খুনি দিয়ে পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে। এর পিছনে আরও কেউ আছেন কি না, দেখা হচ্ছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে হাজির করানো হবে ধৃতদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement