—প্রতীকী চিত্র।
চাষের জমিতে ট্রাক্টর চালানো নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। তার জেরেই জমির মালিককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের চেষ্টা করেন এক ব্যক্তি। জমিমালিকের অভিযোগের উপর ভিত্তি করে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। মঙ্গলবার চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক শিবশঙ্কর ঘোষ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।
২০২০ সালে এক ব্যক্তি তাঁর চার বিঘা জমিতে তিল চাষ শুরু করেন। সেই জমির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালিয়ে নিয়ে যান আর এক ব্যক্তি। জমির উপর দিয়ে ট্রাক্টর চালানো নিয়ে দু’জনের মধ্যে শুরু হয় বচসা। পরের দিন আবার ওই ব্যক্তি তিলের জমির উপর ট্রাক্টর নিয়ে যাওয়ায় প্রতিবাদ করেন ওই জমির মালিক জয়দেব গোলে। তার জেরেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে জয়দেবের মাথায় আঘাত করেন অষ্টদেব পোলবা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চুঁচুড়া হাসপাতালে দশ দিন ভর্তি থাকার পর সুস্থ হন জয়দেব। এর পর তিনি চুঁচুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন অষ্টদেবের বিরুদ্ধে। জয়দেবের অভিযোগের ভিত্তিতে পোলবা থানার পুলিশ অষ্টদেবের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ও ৩২৬ ধারায় মামলা রুজু করে।বুধবার চুঁচুড়া আদালতের ফাস্ট ট্রাক কোর্টের বিচারক তাঁকে সাত বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
মামলার সরকারি আইনজীবী জয়ন্ত সাহা জানান, অষ্টদেব সুগন্ধা গোলপাড়ার বাসিন্দা। জয়দেবের চাষের জমি রয়েছে সোনাদার মাঠে। সেখানেই তিল চাষ করেছিলেন জয়দেব। ওই জমিতেই ট্রাক্টর চালানো নিয়ে বিবাদের সূত্রপাত।
এ বিষয়ে জয়দেব বলেন, “আমার তিল গাছ নষ্ট হয়ে যায় তাই জমির উপর দিয়ে ট্রাক্টর নিয়ে যেতে বারণ করেছিলাম। সেই জন্যই আমায় খুনের চেষ্টা করেছিল। আমি খুশি দোষীর শাস্তি হয়েছে।”