COVID19

Coronavirus in West Bengal: প্রতিষেধক নিয়ে বিক্ষোভে বিশৃঙ্খলা হাসপাতালে

দিন কয়েক আগে স্থানীয় পঞ্চায়েতের টিকাকরণ শিবিরে বিক্ষোভ হয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

উত্তরপাড়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২১ ০৬:৩৫
Share:

প্রতীকী চিত্র।

ভ্যাকসিন নিয়ে এ বার গোলমাল হল শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ব্লকের কানাইপুরে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েও ভ্যাকসিন না পাওয়ার অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার কানাইপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কিছু লোক বিক্ষোভ দেখান। হইচই, ধাক্কাধাক্কির জেরে হুলুস্থুল অবস্থা হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। দিন কয়েক আগে স্থানীয় পঞ্চায়েতের টিকাকরণ শিবিরে বিক্ষোভ হয়েছিল।

Advertisement

করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় টিকাকরণ অন্যতম অস্ত্র বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সরকারের তরফেও সাধারণ মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। কিন্তু ভ্যাকসিনের জোগান চাহিদার তুলনায় অনেক কম বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। এই নিয়ে হুগলির বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ লেগেই থাকছে। এ দিন বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ কানাইপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নিতে আসা কিছু লোক চেঁচামেচি শুরু করেন। তাঁদের ক্ষোভ, সোমবার রাত বা এ দিন সাত সকালে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকার কুপন পাননি। বিষয়টি নিয়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। টিকাকরণ অবশ্য বন্ধ হয়নি। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে টিকা দেওয়া চালু হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ স্বাস্থ্য দফতর মানছে না। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ভ্যাকসিনের জোগান অনুযায়ী সোমবার সন্ধ্যায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়, দেড়শো জনকে প্রথম ডোজ় এবং পঞ্চাশ জনকে দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে। সমস্যা হয় মূলত প্রথম ডোজ় নিয়ে। বিজ্ঞপ্তির কথা ছড়াতেই রাত ৮টার মধ্যে শ’তিনেক লোক হাসপাতালে লাইন দেন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে বলা হয়, এত লোকের ভ্যাকসিন নেই। এর পরে অনেকেই ফিরে যান। এ দিন সকাল থেকে বহু মানুষ ফের লাইন দেন। সকাল ১১টা নাগাদ কুপন দেওয়া শুরু হতেই হট্টগোল এবং তা থেকে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। কার্যত ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। কুপন দেওয়া থামিয়ে দিতে হয়।

Advertisement

ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘আমাদের হাতে রয়েছে দেড়শো জনের ভ্যাকসিন। কিন্তু সবাই দাবি করেন, প্রত্যেককেই দিতে হবে। শেষে পুলিশ এসে কুপন দেয়। তাও জরুরি বিভাগের কোলাপসিবল দরজা বন্ধ করে তা দিতে হয়।’’ বেলা দেড়টার পরে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। হুলস্থুল পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা বিব্রত। তাঁদের একাংশের অভিযোগ, বিশৃঙ্খলার জেরে হাসপাতালের স্বাভাবিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হয়। এক স্বাস্থ্যকর্তার কথায়, ‘‘লাইনের ক্রম অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক কুপন দেওয়া হয়, যাতে সুষ্ঠু ভাবে ওই কাজ করা যায় এবং অতিরিক্ত লোকজন ফিরে যান। আলাদা ভাবে কুপন দেওয়া হয় না। এ নিয়ে কিছু মানুষের
ধারণা ভুল।’’

স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা মনে করেন, ভ্যাকসিনের চাহিদার সঙ্গে জোগানের সামঞ্জস্য না থাকাতেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন