উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিঠুন। নিজস্ব চিত্র।
ভোটের ফল বেরনোর পর থেকে ঘরছাড়া বিজেপির এক যুবনেতা বাড়ি ফিরতেই তাঁকে গাছে বেঁধে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বাগনানের ওড়ফুলি পঞ্চায়েতের ধোরামান্না গ্রামে। তৃণমূল অভিযোগ মানেনি।
আহত মিঠুন চক্রবর্তী বিজেপির বাগনান-৩ মণ্ডলের যুব মোর্চার সাধারণ সম্পাদক। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ জানিয়েছে, প্রহৃতের পরিবারের তরফে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত
চলছে। দোষীদের গ্রেফতারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, তৃণমূলের হুমকিতে তাঁদের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী ঘরছাড়া। পুলিশের আশ্বাসে তাঁরা ধীরে ধীরে বাড়ি ফিরছিলেন। সেইমতো শুক্রবার বিকেলে মিঠুন ফেরেন। অভিযোগ, এর পরেই তৃণমূলের ২০-২৫ জন লোক তাঁর উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গাছে বেঁধে তাঁকে এলোপাথাড়ি মারা হয়। মারের চোটে মিঠুন অজ্ঞান হয়ে যান। হামলাকারীরা পালায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মিঠুনকে বাগনান গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলা কমিটির আহ্বায়ক সুজয় চক্রবর্তীর অভিযোগ, ‘‘ভোটে জিতে ওরা যা খুশি তাই করছে। মিঠুনকে যে ভাবে মারা হয়েছে, উনি মারা যেতে পারতেন।’’ অভিযোগ উড়িয়ে তৃণমূলের হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি মন্ত্রী পুলক রায়ের দাবি, ‘‘বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ওই ঘটনা ঘটেছে। মুখ বাঁচাতে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তৃণমূল কাউকে ঘরছাড়া করেনি। কাউকে মারধরও করা হয়নি।’’