Primary School

পড়ুয়াশূন্য জুনিয়র হাইস্কুলে তালা, একমাত্র শিক্ষিকাও বদলি অন্যত্র

২০০৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন শিক্ষিক-শিক্ষিকার হাত ধরে পথচলা শুরু এই বিদ্যালয়ের। গ্রামের বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে নিয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলত পঠনপাঠন।

Advertisement

সুব্রত জানা

উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৪
Share:

বন্ধ ছোট আমশা জুনিয়র হাইস্কুল। নিজস্ব চিত্র

পড়ুয়া না থাকায় সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেল উলুবেড়িয়া ১ ব্লকের বহিরা পঞ্চায়েতের ছোট আমশা জুনিয়র হাইস্কুল। ওই বিদ্যালয়ের একমাত্র শিক্ষিকাকে অন্যত্র বদলি করেছে শিক্ষা দফতর। উলুবেড়িয়া দক্ষিণ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক দিলীপ মাইতি বলেন, ‘‘বেশ কিছু দিন ধরেই ওই বিদ্যালয় পড়ুয়া-শূন্য ছিল। তাই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যদি পড়ুয়া ভর্তি হয়, তা হলে স্কুল আবার খুলবে।’’

Advertisement

২০০৯ সালে অবসরপ্রাপ্ত কয়েক জন শিক্ষিক-শিক্ষিকার হাত ধরে পথচলা শুরু এই বিদ্যালয়ের। গ্রামের বেশ কয়েক জন পড়ুয়াকে নিয়ে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চলত পঠনপাঠন। ২০১৩ সালে এখানে এক জন স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করে শিক্ষা দফতর। তবে প্রথম থেকেই পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষক-শিক্ষিকা ছিল কম। তার জেরে ক্রমশ কমছিল পড়ুয়া। করোনা-পরবর্তী সময়ে আর পড়ুয়া ভর্তি হয়নি বললেই চলে। আর ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে একজন পড়ুয়াও ভর্তি হয়নি।

পড়ুয়া না আসলেও গত কয়েক বছর ধরে এই বিদ্যালয়ে আসছিলেন শিক্ষিকা ঝুমা পাল। শুক্রবার বিদ্যালয়ে তাঁর শেষ দিন ছিল। তাঁর কথায়, ‘‘শিক্ষা দফতর আমাকে কুলগাছিয়া নেতাজি বালিকা বিদ্যামন্দিরে বদলি করেছে। বিদ্যালয়ের চাবি দিয়ে এসেছি পাশের একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের কাছে।’’ তাঁর গলাতেও মন খারাপের সুর। ওই শিক্ষিকার আক্ষেপ, ‘‘প্রথম দিকে শিক্ষিকা ছিল না। আর পরে, পড়ুয়া। যে স্কুলে পড়িয়েছি, সেটা বন্ধ হয়ে গেলে খারাপ লাগাই তো স্বাভাবিক।’’

Advertisement

গ্রামের বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আক্ষেপ কম নয় গ্রামবাসীরও। এলাকার বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক রঘুনাথ পুরকাইত বলেন, ‘‘অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের ভরসায় এই বিদ্যালয় চালু হয়েছিল। তাঁরা আর কত দিন টানবেন? অভিভাবকেরাও ইংরেজি মাধ্যমের দিকে ঝুঁকছেন। গ্রামের একটি বিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাওয়া তো লজ্জার!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন