Death: কেব্‌ল সংস্থার অফিসে যুবকের রক্তাক্ত দেহ, রহস্য

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামরাজাতলায় গোপাললাল শেঠ লেনের একটি বহুতল আবাসনের একতলায় কেব্‌ল সংস্থার ওই অফিসে রাতে শুতেন সুশান্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২১ ০৬:৫৩
Share:

প্রতীকী ছবি।

কেব্‌ল সংস্থার অফিস থেকে এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার জগাছা থানা এলাকার রামরাজাতলায়। পুলিশ জানিয়েছে, গোপাললাল শেঠ লেনের একটি কেব্‌ল সংস্থার অফিসের মেঝের উপরে দেহটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। মৃত যুবকের নাম সুশান্ত রায় (৩২)। তিনি গত সাত বছর ধরে ওই অফিসেরই একটি ঘরে থাকতেন। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায়। সুশান্ত একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থার টাওয়ার বসানোর কাজ করতেন। এই ঘটনায় এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রামরাজাতলায় গোপাললাল শেঠ লেনের একটি বহুতল আবাসনের একতলায় কেব্‌ল সংস্থার ওই অফিসে রাতে শুতেন সুশান্ত। প্রবল বৃষ্টির কারণে গত তিন দিন ধরে কাজে বেরোননি তিনি। ওই অফিসে দিনের বেলায় অন্য লোকজন কাজ করলেও রাতে সুশান্ত ও মন্টু দাস নামে সেখানকার এক কর্মীই শুধু থাকতেন। দু’জনে আলাদা দু’টি ঘরে শুতেন। পুলিশ জানায়, শুক্রবারও তাঁরা প্রায় একই সময়ে শুতে যান। সকালে উঠে সুশান্তকে তাঁর ঘরের বাইরে থেকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে এবং মেঝেতে রক্ত দেখে মন্টু অফিসের মালিক অনুপ মণ্ডলকে খবর দেন। অনুপবাবু সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করেন। পুলিশ এসে তদন্ত শুরু করে।

প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানায়, ওই যুবকের নাক-মুখ থেকে প্রচুর রক্ত বেরিয়েছে। তবে শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ওই কেব্‌ল সংস্থার মালিক বলেন, ‘‘রাতে অফিস এমনিতেই ফাঁকা থাকে। তাই মন্টু নামে আমার ওই কর্মচারীর সঙ্গে সুশান্তকেও সেখানে থাকতে দিয়েছিলাম। ও মূলত রাতেই শুতে আসত। এমনিতে খুবই ভাল স্বভাবের নির্বিবাদী যুবক ছিল।’’ মন্টু বলেন, ‘‘গত তিন দিন ধরে সুশান্ত ভাত খায়নি। শুধু নেশা করেছে। মনে হয়, মুখ দিয়ে রক্ত উঠে কোনও ভাবে মারা গিয়েছে।’’

Advertisement

কিন্তু সুস্থ-সবল এক যুবক কী ভাবে হঠাৎ মারা গেলেন, সেটাই বুঝতে পারছেন না মৃতের দাদা সুকান্ত রায়, খবর পেয়েই যিনি ছুটে আসেন চন্দ্রকোনা থেকে। সুকান্ত বলেন, ‘‘ওর কোনও রকম অসুস্থতা ছিল না। নেশাও খুব বেশি করত না। কী করে মারা গেল, বুঝতে পারছি না।’’ হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘ঠিক কী কারণে ওই যুবক মারা গেলেন, তা পরিষ্কার নয়। সঙ্গী যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতদেহটি ময়না-তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ওই রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন