Botanical Garden

ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় কাটা হয়েছে শ্বেতচন্দন গাছ, দাবি

গাছটি চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই বটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ পরদিন সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ গাছটির গুঁড়ি কোথায় গেল, এখন তারই সন্ধান শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০২২ ০৭:৩১
Share:

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেন। ফাইল চিত্র।

শিবপুর বটানিক্যাল গার্ডেনের জেসমিন সেকশনের সামনে থেকে উধাও হয়ে যাওয়া, দুষ্প্রাপ্য শ্বেতচন্দন গাছটি কেটে পাচার করা হয়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, আমপানের পরে গাছটি হেলে যাওয়ায় সেটির ডালপালা-গুঁড়ি কেটে রাখা হয়েছে। সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি এই রিপোর্ট দিয়েছে বলে দাবি করলেন বটানিক্যাল গার্ডেনের জয়েন্ট ডিরেক্টর দেবেন্দ্র সিংহ।

Advertisement

শনিবার দেবেন্দ্র জানান, গত সপ্তাহে শ্বেতচন্দন গাছ কাটা হয়েছে, এমন অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যে জায়গায় গাছটি কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল, সেখানে গিয়ে কমিটির সদস্যেরা দেখেছেন, গাছটি ভেঙে একটি দেওয়ালের গায়ে পড়ে রয়েছে। তখন ওই কমিটির সদস্যেরা সেটিকে কাটার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি তাতে ‘নাম্বারিং’ করে, ‘সিল’ করে সেখানকার ঘরে নিয়মানুযায়ী সংরক্ষণ করে রাখেন। এই দাবি অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন ওই উদ্যানের কর্মীদের একাংশ ও প্রাতর্ভ্রমণকারীরা। তাঁদের দাবি, আমপানে যে সব গাছ উপড়ে গিয়েছিল, সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু ওই তালিকায় ১৯৮৯ নম্বরের ওই শ্বেতচন্দন গাছটি ছিল না। তাঁদের প্রশ্ন, এখন কী ভাবে ওই গাছটি পড়ে গিয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে?

এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট ডিরেক্টর বলেন, ‘‘আমপানে পড়ে যাওয়া গাছের তালিকায় ওই গাছটি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে গার্ডেন চত্বরে ৮০টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ওই ক্যামেরাগুলি দিয়ে সব সময়ে নজরদারি চালানো হয়। বাইরের কেউ কোনও গাছে হাত দিচ্ছেন কি না বা গাছ কাটছেন কি না, তা-ও নজরে রাখা হয়।’’ এমন নজরদারির মধ্যে বেআইনি ভাবে গাছের ডাল কেটে বিক্রি বা পাচার করার কোনও আশঙ্কা নেই বলেই তাঁর দাবি।

Advertisement

১৭ তারিখ রাতে গাছটি চুরি যাওয়ার অভিযোগ পাওয়ার পরেই বটানিক্যাল গার্ডেন থানার পুলিশ পরদিন সেখানে গিয়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশ গাছটির গুঁড়ি কোথায় গেল, এখন তারই সন্ধান শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন