Tribeni

বেতন অমিল, অবস্থানে ঠিকাশ্রমিকরা

এই কারখানায় নানা ধরনের কাগজ তৈরি হয়। উৎপাদিত জিনিস মূলত বিদেশে যায়। উৎপাদ‌নের কাজের জন্য রেলের ওয়াগনে কয়লা আসে। ঠিকাশ্রমিকরা সেই কয়লা তোলা-নামানোর কাজ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ত্রিবেণি শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১০:৫৬
Share:

বিক্ষোভ: ত্রিবেণি টিস্যু কারখানার সামনে অবস্থান। নিজস্ব চিত্র

ছ’মাস ধরে বেতন মিলছে না, এই অভিযোগে শনিবার হুগলির ত্রিবেণি টিস্যু কারখানার সামনে অবস্থানে বসলেন ঠিকাশ্রমিকরা। তাঁদের ক্ষোভ, বেতন না-পাওয়ায় সংসার চলছে না। সেই কারণেই কাজ বন্ধ করে রাস্তায় নামতে হয়েছে।

Advertisement

শ্রমিকদের সমস্যা মানছেন ঠিকাদার জিতেন্দ্র সিংহ বাগদার। তবে, তাঁর দাবি, ‘‘ছ’মাসের বেতন বাকি নেই। কিছু টাকা পেয়ে তা দিয়ে দিয়েছি। কিছু বাকি রয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ দিলেই শ্রমিকদের ওই টাকা মিটিয়ে দেব।’’ কারখানা-কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানা যায়নি। কানাইয়া চৌধুরী নামে এক আধিকারিককে ফোন করা হলে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।

এই কারখানায় নানা ধরনের কাগজ তৈরি হয়। উৎপাদিত জিনিস মূলত বিদেশে যায়। উৎপাদ‌নের কাজের জন্য রেলের ওয়াগনে কয়লা আসে। ঠিকাশ্রমিকরা সেই কয়লা তোলা-নামানোর কাজ করেন। এখন ৯২ জন ঠিকাশ্রমিক আছেন। শনিবার সকাল ৯টা নাগাদ ত্রিবেণির পালপাড়ায় কারখানার গেটের সামনে অবস্থানে বসেন ওই শ্রমিকরা।

Advertisement

উজ্জ্বল দাস নামে বিক্ষোভকারী এক শ্রমিক বলেন, ‘‘ওয়াগন থেকে কয়লা নামিয়ে অন্যত্র পৌঁছে দিই আমরা। কঠোর পরিশ্রম করি। কিন্তু, ঠিকাদার ছ’মাস বেতন দেননি। সামনে দুর্গাপুজো। বোনাসও নেই। পুজোর কেনাকাটা দূর অস্ত, সংসারই চলছেনা আমাদের।’’

আন্দো‌লনকারীদের দাবি, পরিস্থিতির কথা কারখানা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও সুরাহা মেলেনি। এর পরেই আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত হয়। তৃণমূল প্রভাবিত ঠিকাশ্রমিক সংগঠনের সম্পাদক বাবলু রায় বলেন, ‘‘খালি পেটে কাজ করা যায় না। শুধু বেতন বকেয়া রাখাই নয়, বেশ কিছু শ্রমিককে ছাঁটাইও করছেন ঠিকাদার। এ সব মানব না। আমরা ২৮-৩০ বছর ধরে কাজ করছি। শ্রমিক ছাঁটাই চলবে না। বকেয়া বেতন অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়া হোক।’’ দাবি পূরণ না হলে আন্দোলন চলবে বলে শ্রমিকরা জানিয়ে দেন।

কারখানার একটি সূত্রের খবর, ঠিকাশ্রমিকদের প্রথম দিনের আন্দোল‌নে উৎপাদনে বিশেষ প্রভাব পড়েনি। তবে, কাজ বন্ধ করে আন্দোলন চলতে থাকলে দু’-এক দিনেই সমস্যা ভালই টের পাওয়া যাবে। উৎপাদন ব্যহত হওয়ার আগেই কর্তৃপক্ষ বা ঠিকাদার সদর্থক পদক্ষেপ করবেন, এই আশা করছেন শ্রমিকরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন