coronavirus

ক্লাবঘর হোক সেফ হোম, প্রস্তাব বিধায়কের দরবারে

এলাকায় প্রতি দিন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা অনেকেই বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন।

Advertisement

কেদারনাথ ঘোষ

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২১ ০৬:১১
Share:

বৈদ্যবাটী চৌমাথা স্পোর্টিং ক্লাবে চালু হওয়া সেফ হোমে একজন করোনা রোগী। —নিজস্ব চিত্র।

করোনা সংক্রমণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না কিছুতেই। গত ১৪ দিনে বৈদ্যবাটী পুরসভায় আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৮। এ বার করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় এগিয়ে এলেন বৈদ্যবাটী এলাকার কয়েকটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ। তাঁরা চাঁপদানির নবনির্বাচিত বিধায়ক অরিন্দম গুঁইনের কাছে আবেদন জানালেন, ক্লাবগুলিকে ব্যবহার করা হোক সেফ হোম হিসেবে। আবার ইতিমধ্যে একটি ক্লাব কর্তৃপক্ষ, সেফহোমের কিছুটাও ব্যবস্থা করে ফেলেছেন ক্লাবে। সেখানে রয়েছে স্থানীয় তিন করোনা আক্রান্ত বাসিন্দা।

Advertisement

এলাকায় প্রতি দিন সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা অনেকেই বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে আলাদাভাবে থাকার মতো পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই বলে অভিযোগ। তাঁদের জন্যই পৃথক ব্যবস্থার প্রস্তাব দিয়েছে বৈদ্যবাটীর চৌমাথা স্পোটিং ক্লাব, নবশক্তি সঙ্ঘ ও চ্যাটার্জি পাড়া উন্নয়ন সমিতি ও সবুজ সঙ্ঘ।

নবশক্তি সঙ্ঘের কার্যকরী কমিটি সদস্য সমীর দত্ত বলেন, ‘‘এই সময় মানুষের পাশে থাকাটাই আমাদের কর্তব্য। ক্লাব ঘর ও সামনে পর্যাপ্ত জায়গা আছে। সরকারি বা পুরসভার পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করলে, আমরা ওই সব রোগীদের থাকার জন্য সেফ হোমের ব্যবস্থা করতে পারি।’’ চ্যাটার্জি পাড়া উন্নয়ন সমিতির কার্যকরী কমিটির সদস্য শঙ্কর সাধুখাঁ বলেন, ‘‘এই অতিমারি পরিস্থিতিতে জেলার হাসপাতালগুলোতে রক্ত ও প্লাজমার সমস্যা রয়েছে। তাই গত রবিবার রক্তদান শিবির আয়োজন করি। ক্লাবের উদ্যোগে ৫০ জন রক্তদান করেন। চলতি পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকতে ক্লাব ঘর-সহ সব সাহায্য করতে প্রস্তুত।’’ বৈদ্যবাটী বিএস পার্ক ক্লাবের সম্পাদক সৌমেন ঘোষ বলেন, ‘‘চাঁপদানি বিধানসভার বিধায়ক বর্তমানে এই ক্লাবের সভাপতি। সরকারি প্রয়োজনের প্রস্তাব এলে, সাধারণ মানুষের প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেব।’’

Advertisement

চৌমাথা স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক প্রসেনজিৎ মৌলিক বলেন, ‘‘আমাদের ক্লাবের দোতলা ঘর রয়েছে। আলাদা সব ব্যবস্থা রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ক্লাবে সেফহোম চালু হল। সেখানে আপাতত তিনজন সংক্রমিত রোগী রয়েছেন। এঁরা সকলেই স্থানীয় বাসিন্দা। প্রত্যেকের পরিজনরা খাবার পৌঁছে দিয়ে যাচ্ছেন।’’

ক্লাবগুলির প্রস্তাবে স্থানীয় বিধায়ক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। বিধায়ক অরিন্দম গুঁইন বলেন, ‘‘ক্লাবগুলো বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে শুধুমাত্র ক্লাব ঘরগুলো নিয়েই তো সমস্যার সমাধান হবে না। প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে, পুরসভার মাধ্যমে সেফ হোমে রোগীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে হবে। তার জন্য ব্যবস্থা চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement