Coronavirus in West Bengal

দেহ বদলের পরে এ বার রোগী নিখোঁজ, ফের বিতর্কে বালিটিকুরি কোভিড হাসপাতাল

হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানিয়েছেন, রোগী নিখোঁজের ঘটনাটি তাঁর অজানা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২১ ১৮:৩৯
Share:

বালিটিকুরির সরকারি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ কোভিড আক্রান্ত স্বপন ঘোষ। নিজস্ব চিত্র।

সরকারি হাসপাতাল থেকে কোভিড আক্রান্ত রোগী নিখোঁজ। পুলিশে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেই দায় সারার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, নিখোঁজ রোগীকে খুঁজে বেড়াচ্ছন পরিবারের সদস্যরা। প্রশ্ন উঠছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ার বালিটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে।

Advertisement

হাওড়ার বাজে শিবপুরের বাসিন্দা স্বপন ঘোষ (৭২)কে শারীরিক অসুস্থতার কারণে গত ২০ শে এপ্রিল ভর্তি করা হয় হাওড়া হাসপাতালে। কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তাকে বালিটিকুরি ইএসআই কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে রোগীর আত্মীয়দের বলা হয় রোগী সম্পর্কে দু’-একদিন পরে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য। তার মাঝখানে বিশেষ প্রয়োজন হলে হাসপাতাল থেকেই পরিবারের সদস্যদের ফোন করা হবে।

সেই মতো ২৩ এপ্রিল রাত্রে রোগী সম্পর্কে হাসপাতালে ফোন করে জানতে চাইলে পরিবারের সদস্যকে বলা হয় ২২ তারিখে রোগী হাসপাতাল ছেড়ে চলে গিয়েছেন। পরিবারের সদস্যেরা যেন পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরিবারের সদস্যরা সেই রাতেই বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রে যোগাযোগ করেন। সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁরা সেখানে পৌঁছানোর মিনিট দশেক আগে হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজের অভিযোগ পুলিশের কাছে লিপিবদ্ধ করানো হয়েছে। যদিও হাসপাতাল থেকে বলা হয়েছিল, ৩১ নম্বর শয্যার চিকিৎসাধীন রোগী স্বপন ঘোষ ২২ তারিখ নিখোঁজ হয়েছেন।

Advertisement

নিখোঁজ রোগীর মেয়ে রুম্পা ঘোষ শনিবার বলেন, ‘‘এরপর বার বার হাসপাতালে যোগাযোগ করেন পরিবারের সদস্যেরা। তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। বরং সরকারি হাসপাতাল থেকে হারিয়ে যাওয়া চিকিৎসাধীন রোগীকে খুঁজে বের করার দায় যেন পরিবারেরই। কেবলমাত্র মিসিং ডায়েরি করে দায়মুক্ত হতে চাইছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।’’

হাওড়া জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাস জানিয়েছেন, রোগী নিখোঁজের ঘটনাটি তাঁর অজানা। বিষয়টি নিয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ এলে তদন্ত করে দেখবেন। উল্লেখ্য, এই কোভিড হাসপাতালের বিরুদ্ধে কিছুদিন আগে মৃতদেহ বদলের অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় এখনও মৃতদেহ পাননি পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন