তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের জন্য বিশেষ প্রস্তুতি হুগলিতে
coronavirus

Coronavirus in West Bengal: এক হাজার শয্যায় অক্সিজেন সংযোগ

হুগলিতে শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকোপ সামলাতে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ চলছেই।

Advertisement

পীযূষ নন্দী

শেষ আপডেট: ১৮ জুলাই ২০২১ ০৭:১৭
Share:

শিশুদের জন্য তৈরি ওয়ার্ড। নিজস্ব চিত্র।

বাছা হয়েছে হুগলির পাঁচটি বড় সরকারি হাসপাতালকে। তৈরি রাখা হচ্ছে প্রায় এক হাজারটি শয্যা। প্রতিটিতে থাকছে অক্সিজেন সংযোগ। সবই শিশুদের জন্য।

Advertisement

দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আগমন নিয়ে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। টিকাকরণ না-হওয়ায় এ বারে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর তাই জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুতিতে জোর দিয়েছে। হুগলিতে শিশুদের ক্ষেত্রে এই রোগের প্রকোপ সামলাতে চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ চলছেই। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিতে বিশেষ পরিকাঠামো তৈরির কাজও শুরু করে দিল জেলা স্বাস্থ্য দফতর।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল, আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি, শ্রীরামপুর ওয়ালশ, চন্দননগর মহকুমা হাসপাতাল এবং উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেলে সদ্যোজাত এবং শিশুদের কোভিড চিকিৎসার জন্য প্রায় এক হাজার শয্যা এবং প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম তৈরি থাকছে।

Advertisement

মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “ওই এক হাজার শয্যার প্রতিটির সঙ্গে অক্সিজেন পাইপলাইনের সংযোগ থাকছে। পাঁচটি হাসপাতালেই আপাতত সদ্যোজাতদের জন্য পাঁচটি করে এনআইসিইউ (নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) এবং ১০টি করে পিআইসিইউ-ও (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) থাকছে। প্রয়োজনে আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি এবং শ্রীরামপুর ওয়ালশে দু’ধরনের শয্যা বাড়ানোরও ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।”

করোনার দ্বিতীয় ঢে়উতে অক্সিজেনের ঘাটতি ভুগিয়েছে। তৃতীয় ঢে়উতে সেই অভাব মিটিয়ে ফেলতে জোর দেওয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে পাঁচ হাসপাতালে পাইপলাইনের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, তার মধ্যে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল এবং শ্রীরামপুর ওয়ালশে সেই কাজ শেষ হয়েছে। আরামবাগে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সেই ব্যবস্থা আছেই। চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে সেই কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এ ছাড়াও চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল, আরামবাগ সুপার স্পেশালিটি এবং ওয়ালশে তিনটি অক্সিজেন প্লান্ট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এর মধ্যে চুঁচুড়া এবং আরামবাগে সেই কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওয়ালশেও সপ্তাহখানেকের মধ্যে শুরু হয়ে যাবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

এ ছাড়াও কোভিড মোকাবিলায় গ্রামীণ হাসপাতাল, ব্লক হাসপাতাল এবং শয্যার ব্যবস্থা আছে এমন প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পরিকাঠামো বাড়ানো হয়েছে। সেখানে প্রতিটিতে ৫ থেকে ১০টি ‘সারি’ শয্যা থাকছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement