এখনও জলমগ্ন খানাকুলের কিছু এলাকা। —নিজস্ব চিত্র।
এ যেন গোদের উপর বিষফোঁড়া। এখনও জল নামেনি হুগলির খানাকুল-সহ কয়েকটি এলাকা থেকে। তার মধ্যেই ফের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ফের জলবন্দি হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে হুগলির কয়েকটি এলাকায়।
দিন কয়েক আগেই বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছিল রূপনারায়ণ। তার জেরে জলমগ্ন হয়েছিল খানাকুল দু’নম্বর ব্লকের ধান্যঘরি, রাজহাটি এক নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার কয়েকটি গ্রাম। সেই জল এখনও নামেনি। এখনও জল জমে রয়েছে বৈদ্যবাটি এবং ডানকুনি পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে। ব্যান্ডেলের লোকোপাড়া এলাকাও জলমগ্ন। এর মাঝেই উদ্বেগ বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। ঘূর্ণিঝড় ‘গুলাব’-এর সরাসরি প্রভাব রাজ্যে পড়বে না বলেই জানিয়েছেন আবহবিদরা। তবে দুর্যোগের হাত থেকে যে রেহাই মিলবে না, তা-ও বলা হয়েছে পূর্বাভাসে। আগামী মঙ্গল এবং বুধবার কলকাতা, দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম-সহ দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে যে সব জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে, সেখানকার বাসিন্দারা আশঙ্কায়। তবে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জেলার যে সব এলাকা এখনও জলমগ্ন সেখানকার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানো হবে বলেও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।
পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। হুগলির জেলাশাসক পি দীপাপ প্রিয়া বলেন, ‘‘দুর্যোগ মোকাবিলায় একটি বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রত্যেক মহকুমা এবং ব্লকেই কন্ট্রোলরুম খোলা। পাশাপাশি প্রতিটি দফতরকেও সতর্ক করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলার ১৩টি পুরসভাকেও প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ যে সব পুরসভায় পর্যাপ্ত পাম্প নেই তাদের অতিরিক্ত পাম্প ভাড়া নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কয়েকটি বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই বাঁধগুলি মেরামত করা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর। দামোদর নদীর জল আপাতত বিপদসীমার নীচে রয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।