Death

Dead Body: ফের এক বামপন্থী নেতার রহস্যমৃত্যু হাওড়ায়, রেললাইনে মিলল সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ

সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন এবং নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৩৫
Share:

রেললাইনের ধারে মিলল সৌমেন কুণ্ডুর দেহ। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল রাজ্য। তার দিন কয়েকের মধ্যেই হাওড়ায় আর এক বামপন্থী নেতার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটল। দক্ষিণ পূর্ব রেলের আবাদা স্টেশনের কাছে রেল লাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল সৌমেন কুন্ডু (৪২) নামে এক সিপিএম নেতার রক্তাক্ত দেহ। তিনি সিপিএমের হাওড়ার চ্যাটার্জিহাটের ছোট ভট্টাচার্যপাড়ার শাখা সম্পাদক ছিলেন।
সোমবার রাতে দক্ষিণ পূর্ব রেলের আবাদা স্টেশনের কাছে রেললাইনের ধার থেকে সৌমেনের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে রেল পুলিশ। রাতেই সৌমেনের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। সৌমেনের পরিবারের বক্তব্য, সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বার হয়েছিলেন। তাঁর সঙ্গে সাইকেল ছিল। দুপুরে খেতে আসবেন না বলেও বাড়িতে তিনি জানিয়েছিলেন বলে সৌমেনের পরিবারের সদস্যদের দাবি। কিন্তু অনেক রাত পর্যন্ত সৌমেন বাড়ি না ফেরায় চ্যাটার্জিহাট থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। অভিযোগ, পুলিশি সহায়তা না পাওয়ায় তাঁরা বিষয়টি নিয়ে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারের দফতর এবং পরবর্তীকালে তাঁরা লালবাজারেও যোগাযোগ করেন। এর পর তাঁদের সৌমেনের দেহ উদ্ধারের খবর জানায় রেলপুলিশ।

সৌমেনের পরিবারের অভিযোগ, তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাঁর মাথার পিছনে আঘাতের চিহ্ন এবং নাক দিয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে দাবি তাঁদের। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে ধারণা তদন্তকারীদের। শালিমার জিআরপি এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

Advertisement

সিপিএমের চ্যাটার্জিহাটের সাউথ-ইস্ট এরিয়া কমিটির সদস্য সন্দীপ কোলের কথায়, ‘‘সৌমেন অজাতশত্রু। তিনি পার্টির শাখা সম্পাদক ছিলেন। আনিসের মৃত্যুর ঘটনায় তিনি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি প্রতিবাদ মিছিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা চাই এই রহস্য উদ্‌ঘাটন হোক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন