flood

Flood: দু’মাসে তিন বার বন্যা! বিধ্বস্ত হুগলি-হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা, সঙ্কট জীবন এবং জীবিকার

শনিবার বন্যা কবলিত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

হাওড়া ও হুগলি শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ১৯:০৭
Share:

বানভাসি খানাকুল। নিজস্ব চিত্র।

গত দু’মাসের মধ্যে তিন বার বানভাসি হল হুগলি ও হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা। পুজোর মুখে প্রকৃতির রোষে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এই পরিস্থিতিতে শনিবার বন্যা কবলিত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শনে করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুর ১২টা নাগাদ ডুমুরজলা থেকে হেলিকপ্টারে রওনা দেন তিনি।

আরামবাগ শহরের বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হলেও গোটা খানাকুলের পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হয়ে উঠছে। পাশাপাশি, পুরশুড়া ব্লকও প্লাবিত হয়েছে। পূর্ব ও পশ্চিম খানাকুলের একাধিক গ্রামপঞ্চায়েতের বহু এলাকা জলের তলায় চলে গেছে। পূর্ব খানাকুলে মুণ্ডেশ্বরী নদীর জল উপচে আবার কোথাও বাঁধ ভেঙ্গে জল ঢুকছে। পানশিউলি, মারোখানা, শবল সিংহপুর, চিংড়া, নতিবপুর, তাঁতিশাল, বালিপুর, উদনা প্লাবিত হয়েছে। এলাকাগুলির প্রায় প্রতিটি রাস্তা জলমগ্ন। পানশিউলি ও মারোখানা বাজারে এক মানুষ জল। দোকান পাট, যান চলাচল বন্ধ।

Advertisement

পশ্চিম খানাকুলে রূপনারায়ণ ও দ্বারকেশ্বর নদীর জল ঢুলে আবারও প্লাবিত হয়েছে বন্দর, ধান্যঘড়ি, কাকনান, ঘোড়াদহ-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। আরামবাগ-বন্দর রাস্তা নদীর আকার নিয়েছে। সব মিলিয়ে পুজোর আগে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এলাকায় চাষ-আবাদ বন্ধ। বন্ধ বহু ছোটো ব্যবসা বা দোকান পাট। লে রুজি-রুটিতে টান পড়েছে খানাকুলবাসীর অনেকেরই। সরকারি ত্রাণে কোনও ভাবে দিন গুজরান হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

একই অবস্থা পাশের জেলা হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর এবং আমতা-২ ব্লকের বিস্তীর্ণ অংশেরও। শনিবার গভীর রাত থেকে দামোদরের বাঁধ উপছে আমতা-২ নং ব্লকের বিনলা কৃষ্ণবাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে। বহু বাড়ির অধিকাংশ অংশ চলে যায় জলের তলায়। দু’মাসের ভিতর ফের বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় চরম সমস্যায় কয়েক হাজার পরিবার। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সকাল থেকে উদয়নারায়ণপুরে জল ঢুকতে থাকে। এই মুহূর্তে উদয়নারায়নপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন