Howrah Christmas Carnival

মন্ত্রী মনোজের ঘনিষ্ঠদের আপত্তি, বন্ধ হাওড়ার ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল! ‘গন্ডগোলের মূলে মন্ত্রীরই লোকেরা’, পাল্টা পুর-দাবি

হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে ডুমুরজলায় ক্রিসমাস কার্নিভাল শুরু হয়েছিল। ২২ ডিসেম্বর কার্নিভালের উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১২ দিন ধরে চলার কথা ছিল এই কার্নিভাল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

হাওড়া শেষ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২৩:৫৫
Share:

(বাঁ দিকে) রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি এবং হাওড়ার ক্রিসমাস কার্নিভাল। —ফাইল চিত্র।

পার্কিং নিয়ে গন্ডগোল। এর পরেই নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল হাওড়ার ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল। রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মনোজ তিওয়ারির ঘনিষ্ঠ একাংশের আপত্তিতেই কার্নিভ্যাল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে হাওড়া পুরসভা। তাদের দাবি, মন্ত্রীর অনুগামীরা জটলা পাকিয়ে গন্ডগোলের পরিবেশ তৈরি করেছিলেন। যার জেরে নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পাল্টা মনোজ দাবি করেছেন, বেআইনি ভাবে পার্কিং থেকে টাকা তোলা হচ্ছিল বলেই তিনি কার্নিভ্যালে গিয়েছিলেন। বেআইনি পার্কিং নিয়ে তাঁর আপত্তি ছিল।

Advertisement

হাওড়া পুরসভার উদ্যোগে ডুমুরজলায় ক্রিসমাস কার্নিভ্যাল শুরু হয়েছিল। ২২ ডিসেম্বর কার্নিভ্যালের উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ১২ দিন ধরে চলার কথা ছিল এই কার্নিভ্যাল। কিন্তু পাঁচ দিনের মাথায় তা বন্ধ করে দেওয়া হল। বুধবার রাতে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য কার্নিভ্যাল বন্ধের কথা জানান। তার আগে সন্ধ্যায় সেখানে যান মনোজ ও তাঁর অনুগামীরা। এর পরেই কার্নিভ্যালে গন্ডগোলের পরিবেশ তৈরি হয় পার্কিং ব্যবস্থাকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ ওঠে, মনোজের অনুগামীরা কার্নিভ্যালে এসে হইহট্টগোল শুরু করেন। পুলিশ থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যায়নি।

সুজয়ের দাবি, পার্কিং নিয়ে অভিযোগ ছিল শিবপুরের বিধায়ক মনোজের। এ বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনাও হয়েছিল। সুজয় বলেন, ‘‘প্রচুর জনসমাগম হচ্ছে প্রতি দিন। ফলে এত মানুষের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে কার্নিভ্যাল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে হল। যে ঘটনা ঘটেছে, তা অনভিপ্রেত।’’ তাঁকে সাংবাদিক সম্মেলন করতে বাধা দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সুজয়।

Advertisement

পাল্টা মনোজ বলেন, ‘‘কার্নিভ্যালে বেআইনি ভাবে পার্কিংয়ে টাকা নেওয়া হচ্ছে। সেই খবর পেয়েই এসেছিলাম। কয়েক দিন আগেও পার্কিং নিয়ে ঝামেলা হয়। থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু বেআইনি পার্কিং বন্ধ হয়নি। এ বিষয়ে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন