Illegal Medicine Factory

মগরায় জাল ওষুধ কারখানার হদিস

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মগরায় একতলা সুদৃশ্য একটি একতলা বাড়ি মাস পাঁচেক আগে ভাড়া নিয়ে ওই কারবার চালাত কয়েক জন যুবক। বাড়ির মালিক কর্মসূত্রে বিদেশ থাকেন।

Advertisement
কলকাতা, মগরা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:১২
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

মগরার নতুনপাড়ায় নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ জাল করার কারখানার সন্ধান পেল রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। আসল ওষুধের সঙ্গে রাসায়নিক মিশিয়ে ওই কাজ করা হত বলেতাদের দাবি।

Advertisement

গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, নতুনপাড়ায় একটি বাড়িতে হানা দিয়ে ওই কারখানার সন্ধান মিলেছে। সেখান থেকে নিষিদ্ধ ওই কাশির ওষুধ তৈরির কাঁচামাল, যন্ত্রপাতি, বিভিন্ন রাসায়নিক-সহ প্রায় এক কোটি টাকার সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল কর্তৃপক্ষকে খবর দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মগরায় একতলা সুদৃশ্য একটি একতলা বাড়ি মাস পাঁচেক আগে ভাড়া নিয়ে ওই কারবার চালাত কয়েক জন যুবক। বাড়ির মালিক কর্মসূত্রে বিদেশ থাকেন। গোটা ঘটনায় পাড়া-পড়শিরা হতভম্ব। তাঁদের দাবি, ওই বাড়িতে এমন কাজ হত, তাঁরা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি। তাঁরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় গোয়েন্দারা হানা দেন। তখন বাড়িতে কেউ ছিল না। তল্লাশির পরে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বাড়িটি ‘সিল’ করে দেন গোয়েন্দারা।

Advertisement

গোয়েন্দা সূত্রের খবর, গত ২১ ফেব্রুয়ারি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থেকে পশুখাদ্যের ব্যাগবোঝাই একটি গাড়ি আটক করা হয়। তার ভিতরে তল্লাশি চালিয়ে ২২ বস্তা নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ উদ্ধার করা হয়, যার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। গাড়ির চালক উপেন্দ্রকুমার মাহাতোকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে গাইঘাটা থানায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে এসটিএফ। গোয়েন্দারা জানান, ধৃত চালককে জেরা করে তাঁরা জানতে পারেন, মগরা থেকে সে ওই মাদক নিয়ে এসেছিল। এরপরেই তাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে হানা দেন গোয়েন্দারা।

এক তদন্তকারী জানান, ওই বাড়িতে নিষিদ্ধ কাশির ওষুধ তৈরির সঙ্গে যুক্ত ১৮ রকমের জিনিস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। মূলত আসল ওষুধ নিয়ে এসে তার সঙ্গে বিভিন্ন রাসয়ানিক মিলিয়ে ভেজাল ওই ওষুধ তৈরি করা হত। এসটিএফ জানিয়েছে, সেখানে তৈরি জাল ওষুধ বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পাঠানো হত। বাংলাদেশে ওই ওষুধের চাহিদা প্রচুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন